‘অপরাজিত’র পরিচালক অনীকের অসভ্যতা, ভন্ডুল সাংবাদিক বৈঠক

কর্মসূচি ঘোষণা করতে শনিবার, কলকাতা প্রেস ক্লাবে (Press Club) সাংবাদিক বৈঠক ডাকে বামপন্থী নাগরিক মঞ্চ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। কিন্তু সাংবাদিকের প্রশ্নেই মেজাজ হারিয়ে চূড়ান্ত অসভ্যতা করলেন ‘অপরাজিত’র পরিচালক টুকলিবাজ অনীক দত্ত (Anik Dutta)। সেখানে পর পর বিভিন্ন প্রশ্ন করেন সাংবাদিক। আর তাতেই ভদ্রতার সব মুখোশ খুলে নখ-দাঁত বেরিয়ে পরে বামপন্থী পরিচালকের। সাংবাদিক বৈঠক থেকে সাংবাদিককেই বেরিয়ে যেতে বলেন অনীক দত্ত। তাঁর প্রতিবাদ করেন অধিকাংশ সাংবাদিক । কিন্তু তাতেও অনীককে থামানো যায়নি। উল্টে ভন্ডুল হয় সাংবাদিক বৈঠক। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন প্রবীন সিপিআইএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। সাংবাদিক বৈঠক শেষ করে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণার জন্য এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, পবিত্র সরকার, চন্দন সেন, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ অনেক বামপন্থী বুদ্ধিজীবী। সেখানে সিপিআইএমের বর্ষীয়ান নেতা ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে ‘জাগো বাংলা’র সাংবাদিক মণীশ কীর্তনিয়া বাম আমলের ‘অনিলায়ন’ এবং সিপিআইএমের পার্টি কমরেডদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করেন। এর পাশাপাশি, মণীশ বাম বুদ্ধিজীবীদের প্রশ্ন করেন, সিপিআইএমের মঞ্চে এবিষয়ে কথা বলতে কেন দেখা যায় না তাঁদের? রাজ্যের শাসকদল ছাড়া কেন বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁরা সেভাবে সরব নন!

এরপরেই বিকাশ ভট্টাচার্যের থেকে মাইক ছিনিয়ে নেন অভব্য, ধান্দাবাজ অনীক। আঙুল তুলে ‘জাগো বাংলা’র সাংবাদিককে বলেন, ”একদম চুপ করে থাকুন।” এমনকী, তাঁকে সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও বলেন অনীক। তাঁর এই অসভ্যতায় প্রথমে হতভম্ব হয়ে যান সকলে। এরপর, তাঁকে বারবার থামানোর চেষ্টা করেন বিকাশবাবু, রাহুল কিন্তু অনীক দত্ত চেঁচাতেই থাকেন। ভন্ডুল হয় সাংবাদিক বৈঠক। সেখানে উপস্থিত সব সাংবাদিকরা অনীকের আচরণের প্রতিবাদ করেন। অনীক দত্তের হয়ে ক্ষমা চান বিকাশ ভট্টাচার্য। কিন্তু তখন অপারাজিত-র পরিচালককে বলতে শোনা যায় ”আমি ক্ষমা চাইছি না।” অনীকের আচরণের তীব্র বিরোধিতা করেন বিকাশ রঞ্জন নিজেই। তিনি বলেন, আপনি এরকম বলতে পারেন না। আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে এরকম আচরণ করি না। এরপর নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের জেরেই ভন্ডুল হয় সাংবাদিক বৈঠক।

আরও পড়ুন:গুজরাটি-রাজস্থানি না থাকলে মুম্বাই বাণিজ্যনগরী হত না, কোশিয়ারীর মন্তব্যে বিতর্ক

 

 

 

Previous articleগুজরাটি-রাজস্থানি না থাকলে মুম্বাই বাণিজ্যনগরী হত না, কোশিয়ারীর মন্তব্যে বিতর্ক
Next articleManoranjan Byapari: অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না, সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে