এসএসসি (ssc) দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই ইডি(ED) হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) । নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি পার্থ তাঁর বিশেষ বান্ধবী অর্পিতা ও তাঁদের পরিচিত এবং আত্মীয়দের নামে বেনামে অগাধ সম্পত্তির হদিশ মিলছে। কোথাও জমি, কোথাও বাড়ি, কোথাও গাড়ি। আর অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে রাখা গুপ্তধনে শুধু নগরের পরিমাণ ৫০কোটি। এর বাইরে সোনাদানা মিলেছে ভুরিভুরি। খুব স্বাভাবিকভাবেই একাধিক দফতরের মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে পার্থর। তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দল থেকে। এতকিছুর পরেও ফের পার্থর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ সামনে এলো।

অভিযোগ, পার্থ শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন “সবুজসাথী” (Sabuj Sathi) প্রকল্পের মাধ্যমে সাইকেল বিতরণ নিয়ে ব্যাপক গাফিলতি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ১.১৫ লক্ষ সাইকেল পেয়েছেন এমন ছাত্র ছাত্রীদের নামই তোলা হয়নি সবুজ সাথী পোর্টালে। গত পাঁচ মাস আগে এই বিষয়টি সামনে আসতেই, চোখ কপালে ওঠে প্রশাসনের। এরপর তড়িঘড়ি উদ্যোগ নিয়ে সেই ১.১৫ লক্ষ সাইকেল প্রাপক ছাত্রছাত্রীর নাম তোলা হয় সবুজসাথী পোর্টালে। ত্রুটি মুক্ত করা হয় রাজ্যের তথ্য ভাণ্ডার। সবুজসাথী সংক্রান্ত “মাস্টার রোল” নামক নথি স্বাক্ষর করতে হয় সাইকেল প্রাপক পড়ুয়াদের। প্রাপকের নাম, স্কুলের নাম-সহ প্রতিটি সাইকেলে খোদাই করা ফ্রেমের নির্দিষ্ট নম্বরও দেওয়া থাকে এই নথিতে। লক্ষাধিক সাইকেল প্রাপকের নাম পোর্টালে বাদ থাকায় প্রায় ১.০৪ কোটি ‘‘মাস্টার রোল’’ খতিয়ে দেখে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের আধিকারিকরা। বের করা হয় তালিকায় নাম না থাকা অধিকাংশ সাইকেল প্রাপকদের তথ্য। যা স্কুলগুলিকে পাঠিয়ে পোর্টালে তোলার র্নিদেশ দেওয়া হয়। অর্থাৎ, “মাস্টার রোল” সম্পূর্ন স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে দুর্নীতি করার কোনও সুযোগ নেই। কেউ বেনিয়ম করলে তা ধরা পড়তে বাধ্য। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে সবুজসাথী নিয়ে বেনিয়ম ধরা পড়তেই সময় মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।