পঞ্চায়েত ভোটে দাদাগিরি-নেতাগিরি চলবে না, চাই স্বচ্ছভাবমূর্তি, জনসংযোগ: কড়া বার্তা অভিষেকের

জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে দীর্ঘ বৈঠক হয় অভিষেকের। যা খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত লোকসভা নির্বাচনে এই তিন জেলাতেই সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে তৃণমূলের

তেইশে রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে দেশজুড়ে। ২০২৪-এর লোকসভার ভোটই পাখির চোখ। লক্ষ্য ৪২-এ ৪২! তার আগে সংগঠনকে ঝালিয়ে নিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নজরে পঞ্চায়েত ভোট। সোমবারই বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক শীর্ষপদে ব্যাপক রদবদল এনেছে ঘাসফুল শিবির। তারপরই উত্তরের তিন জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে মূলত জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিংয়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের একগুচ্ছ নির্দেশ-সহ সামগ্রিকভাবে বেশকিছু কড়া বার্তাও দেন অভিষেক।

এদিন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে দীর্ঘ বৈঠক হয় অভিষেকের। যা খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত লোকসভা নির্বাচনে এই তিন জেলাতেই সবচেয়ে খারাপ ফল করেছিল তৃণমূলে। বিধানসভা ভোটে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও এই সব জেলার একাধিক আসন হাতছাড়া হয়েছে। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার জেলায়। চা-বলয়ে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। কারণ হিসেবে সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করছে তৃণমূল। তাই একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে যারা কাজ করবেন সেই স্থানীয় নেতৃত্বকে আরও বেশি দায়িত্বশীল করতে উদ্যোগী দল। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, জনসংযোগে দক্ষ, কাজ করার মানসিকতা আছে এমন ব্যক্তিত্বকেই যে সাংগঠনিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।

এদিন বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলা নিয়ে বিশেষ সতর্ক ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ নেতৃত্বকে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও দাদাগিরি নয়। থানায় গিয়ে কিংবা প্রশাসনিক কাজে ব্যক্তিগত ক্ষমতা প্রর্দশন চলবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে। ইতিমধ্যে আগস্ট মাসের শ্রমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করেছে জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব। ৭৮টা চা বাগানে ৭৮ টা প্রস্তুতি বৈঠক, সভা হবে। ৪৮ ঘন্টা পর থেকেই সেই সভা শুরু। ১০ সেপ্টেম্বর রয়েছে বড় সভা।

জনসংযোগ নিয়ে অভিষেকের বার্তা, বুথে বুথে যেতে হবে। ব্যক্তিগত লোক নয়, দলের লোক চাই। সভার ভিড় শেষ কথা নয়, ভিড় যেন ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হয়। জনসংযোগে জোর দিতে হবে। এখনই রাস্তায় নেমে মানুষের কাছে যেতে হবে।

আরও পড়ুন- রাজ্যে ২১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, পুজোর আগেই প্রক্রিয়া শুরু হবে; জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

 

 

Previous articleলাল-হলুদের থেকে ‘ভারত গৌরব’ সম্মান পাওয়াটা বিরাট ব্যাপার, বললেন লিয়েন্ডার
Next articleএসএসসি দুর্নীতির বিরুদ্ধে শহরে প্রতিবাদ মিছিল নাগরিক সমাজের