চলতি বছরের শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রাজ্য গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির, এমনকী বিজেপির সবথেকে বড় তুরুপের তাস নরেন্দ্র মোদিও দল ও সরকারের একাধিক কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকেছেন। লড়াইতে বিজেপির জায়গা অনেকটা পাকাপোক্ত হলেও বসে থাকতে রাজি নয় বিরোধী রাজনৈতিক গুলি।
পাঞ্জাব জয়ের পর গুজরাট নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন আম আদমি পার্টি নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনকে হাতিয়ার করে এবার বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন কেজরি। তিনি জানিয়েছেন, গুজরাটের মানুষ যদি আপকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসে তবে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। যুব সমাজের সমর্থন পেতে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তাদের সরকার ক্ষমতায় এলে বেকারদের মাসিক ৩ হাজার টাকা সরকারি ভাতা দেওয়া হবে। এখানেই থেমে না থেকে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে তিনি নিশ্চিত করবেন, পাঁচ বছরে রাজ্যের প্রত্যেক বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের যেন ব্যবস্থা হয়।
মার্চ মাসে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর গুজরাটের পায়ের তলার মাটি শক্ত করাই এখন কেজরিওয়ালের প্রধান লক্ষ্য, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গুজরাটের মানুষের মন জয়ে বিনামূল্যে জল ও বিদ্যুৎ দেওয়ার পাশাপাশি যুব সমাজের মন জয়ে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে জল, বিদ্যুতের পাশাপাশি দিল্লির শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মডেল যেভাবে পাঞ্জাবের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তাতে এইগুলিকে হাতিয়ার করেই গুজরাটের মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করছেন কেজরিওয়াল। এদিন কেজরিওয়াল বলেন, ‘বিজেপির বন্ধুদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় এবং তা সুইস ব্যাঙ্কে গিয়ে শেষ হয়।’ কেজরির কটাক্ষ, ‘গুজরাট সরকারের দেনা রয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা। এই দেনার পিছনে দায়ী কে? কেজরিওয়াল? গুজরাটে কোনও সরকারি পরিষেবাই তো বিনামূল্যে দেওয়া হয় বলে শুনিনি! তাহলে সরকারের এত দেনা হল কী করে? সবটাই দুর্নীতি।’ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। গুজরাট ভোটে এটাকেই হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে আপ।