পুণ্যার্থীদের (Pilgrims) ভিড় বাড়ছে তার সঙ্গে দূর্ঘটনা ঘটার প্রবণতাও ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী । তাই জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জল্পেশ মন্দির (Jalpesh Temple) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly)। এবার জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে (Sanctum Sanctorum) আর প্রবেশ করতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা। মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকার পথ সরু। আর শ্রাবণ মাসের বিশেষ করে সোমবারগুলোতে প্রবল ভিড়ের কারণে পুণ্যার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়ে জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে এমন নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে মন্দিরের বাইরে তিনটি জায়গায় ভক্তদের জল ঢালার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই জল চ্যানেলের মাধ্যমে সহজেই গর্ভগৃহে পৌঁছবে। শ্রাবণ মাসের আগামী দুই রবিবার ও সোমবার কোনও টিকিট বিক্রি করা যাবে না। প্রসঙ্গত, জল্পেশ মন্দির অত্যন্ত প্রাচীন ও বিখ্যাত শিবমন্দির। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির কাছে জল্পেশে এই মন্দির। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। মন্দির চত্বরে শ্রাবণী মেলাও বসে। করোনার কারণে গত দুবছর সেভাবে ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। জল্পেশ মন্দিরকে অত্যন্ত পবিত্র স্থল হিসেবে বিশ্বাস করেন ভক্তরা। সেই মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে আদালত। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরিন্দ্রনাথ দেব (Girindra Nath Deb)। তিনি জানিয়েছেন শ্রাবণ মাসের আগামী দুই রবি ও সোমবারের জন্য এই নির্দেশ কার্যকরী করা হয়েছে। পুণ্যার্থীরা রবিবার রাত ২ টো থেকে সোমবার বিকেল ৪ টার মধ্যে মন্দিরে এসে জল ঢালতে পারবে। কিন্তু মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি নেই, বিকল্প ব্যবস্থায় জল ঢালা যাবে।