গত কয়েক বছর ধরে জাক জমক করে খুঁটি পুজো উৎসব পালন করা একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে।

ফি বছরই কলকাতার হেভিওয়েট পুজো প্যান্ডেলগুলোয় থাকে থিমের নয়া চমক৷ পূর্ব কলকাতা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির ৭৬ বছরের থিম ‘গঙ্গায় আসা গঙ্গায় ভাসা’।পূর্ব কলকাতা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ও নারকেলডাঙ্গা সংহতি চক্রের যৌথ প্রয়াসে রবিবার রক্তদান শিবির ও খুঁটি পুজো অনুষ্ঠিত হলো।
খুঁটি পুজোর ধারণাটি আসলে এসেছে প্রায় শত বছর পুরনো এক রীতি থেকে। আগে এত ক্লাব, থিম, প্রতিযোগিতার পিছনে ছোটাছুটি ছিল না। পুজো মানেই ছিল বনেদি বাড়ির সাবেকি একচালা প্রতিমা। আর সেই সময় মূলত বাড়ির ঠাকুর দালানে গড়া হত প্রতিমা। তখন থেকেই অনেকে রথযাত্রার শুভ দিনে, মাটির প্রতিমার কাঠের ফ্রেমকে পুজো করা হত। যেটি ‘কাঠামো পুজো’ (Kathamo Puja) বলেই পরিচিত। এরপর একটু একটু করে গড়ে উঠত দুর্গা প্রতিমা।
এক সময় পুজো প্যান্ডেল মানে ছিল বাঁশ ও রঙিন কাপড়ের তৈরি। ধীরে ধীরে সেই বাঁশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, থার্মোকল, চট, প্লাস্টিক, কাঠ, পাট, প্লাস্টার অফ প্যারিস, সিমেন্ট আরও কত রকমারি সামগ্রী।
যত দিন যাচ্ছে বেড়ে চলেছে খুঁটি পুজোর চাকচিক্য। রবিবারের খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন সংশোধনাগার দপ্তরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক পরেশ পাল, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ বিশ্বাস, সভাপতি মানস রঞ্জন দত্ত, সম্পাদক জয়ন্ত কর্মকার সহ বিশিষ্টরা।
খুঁটি পুজোর মাধ্যমে যেমন পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল, তেমনি যে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো তাতে ৫৮ জন রক্ত দান করেন । এবছর কোভিড পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ হলেও যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে কোভিড বিধি মেনেই এবারের পুজো আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্যেক্তারা।
