গারদে নাকি পা ফুলে ঢোল, এবার জেল হাসপাতালে ঠাঁই পেতে মরিয়া পার্থ

জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, বাড়তি কোনও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রশ্নই নেই পার্থকে। সকালের টিফিন থেকে দুপুরের খাবার হোক কিংবা রাতের ডিনার, জেলে সকলের জন্য যা রান্না হচ্ছে, সেটাই দেওয়া হচ্ছে পার্থকে

 

দেশের আইন সকলের জন্য সমান। তা সে তিনিই হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী হোন কিংবা কোনও সেলিব্রিটি অথবা সাধারণ অপরাধী। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নিজেদের ক্ষমতা বলে “অপরাধী” বন্দিদশায় বিশেষ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। ঠিক সেই জায়গা থেকেই এই প্রতিবেদন।

এই মুহূর্তে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চিত-আলোচিত এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ১৪ দিনের ইডি হেফাজত শেষে আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলে বিচারাধীন বন্দিদশা কাটাচ্ছেন। সেখানেও সহবন্দিদের কটাক্ষ, টিপ্পনি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও ভাষায় জেরবার তিনি।

ভিভিআইপি জীবনযাপন এখন অতীত। একেবারে আর পাঁচজন সাধারণ বন্দির মতো জেলে কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। জেলের প্রথম দু’রাতে তাঁকে ঘুমোতে দেওয়া হয়েছিল মেঝেতে। কিন্তু গোটা রাত জেগে কাটিয়েছেন পার্থ। শারীরিক কারণে উঁচু-নিচু হতে পারেন না তিনি। তাই সমস্যায় জেরবার। অবশেষে জেলে ঘুমনোর জন্য খাট পেয়েছেন। যদিও জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, বাড়তি কোনও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রশ্নই নেই পার্থকে। সকালের টিফিন থেকে দুপুরের খাবার হোক কিংবা রাতের ডিনার, জেলে সকলের জন্য যা রান্না হচ্ছে, সেটাই দেওয়া হচ্ছে পার্থকে।

জেল সূত্রে এবার জানা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পা ফোলার সম্যসা বাড়ছে। সেদিকে নজর রাখছেন প্রেসিডেন্সি জেলের চিকিৎসকরা। অনেক আগে থেকেই বার্ধক্যজনিত নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত পার্থ। শুধুমাত্র ভিভিআইপি ট্রিটমেন্টে থাকতেন বলে প্রকটরূপে সেই সমস্যাগুলি সামনে আসেনি। যদিও এখনই তাঁকে জেল হাসপাতালে রাখার বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পার্থ অবশ্য মনেপ্রাণে চাইছেন যেভাবেই হোক সেল থেকে যেন জেল হাসপাতালে তাঁর ঠাঁই হোক। সেক্ষেত্রে বন্দিদশায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন তিনি।

 

 

 

 

Previous articleপূর্ব কলকাতা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির খুঁটি পুজো ও রক্তদান শিবিরে চাঁদের হাট
Next articleসোমে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক শিক্ষামন্ত্রীর