পার্থ-অর্পিতার নয়া কীর্তি ফাঁস ইডির: SSC ছাড়াও অন্য উপায়ে কোটি কোটি লেনদেন!

শুধুমাত্র এসএসসি বা গ্রুপ-ডি চাকরি প্রার্থী নয়, পার্টির পদের ক্ষমতাবলে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুরভোটে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলীয় টিকিটও অনেককেই পাইয়ে দিয়েছেন পার্থ, এমটাও অনুমান করছেন ইডি তদন্তকারীরা)

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বিশেষ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুর্নীতি তদন্ত একেবারে সঠিক পথে এগোচ্ছে বলেই দাবি ইডি আধিকারিকদের। এবার তদন্তকারীদের হাতে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট-এর যে নথি এসেছে, তার চোখ কপালে তোলার জন্য যথেষ্ট। ২০১৬ থেকে ২০১৯, মাত্র তিন বছরে পার্থ-অর্পিতা সম্পর্কিত কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭০০ কোটির টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোটি কোটি লেনদেন ধারাবাহিকভাবে চলতো। পার্থ-অর্পিতা যে মাসে গ্রেফতার হয়েছেন, সেই জুলাইতেও তাঁদের কীর্তি ফাঁস হওয়ার আগে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলিতে একের পর এক মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। পার্থ-অর্পিতার জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট-সহ তাঁদের মালিকানায় থাকা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলিতে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব হাতে এসেছে ইডির।

অন্যদিকে, পার্থ-অর্পিতার বিপুল পরিমাণ টাকার উৎসের সন্ধান করতে গিয়ে তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি জানতে পেরেছে, চাকরিপ্রার্থীরা নগদ টাকা নিয়ে সরাসরি এসএসসি অফিস এলাকায় যেতেন। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করতেন পার্থ-ঘনিষ্ঠ দুই থেকে তিনজন। খুব গোপনে সেই টাকা নিয়ে পার্থ ঘনিষ্ঠরা চলে যেতেন অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। যেখান থেকে ২১কোটির বেশি নগদ উদ্ধার করেছে ইডি।

শুধুমাত্র এসএসসি বা গ্রুপ-ডি চাকরি প্রার্থী নয়, পার্টির পদের ক্ষমতাবলে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুরভোটে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলীয় টিকিটও অনেককেই পাইয়ে দিয়েছেন পার্থ, এমটাও অনুমান করছেন ইডি তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন:সহকর্মীরা মানসিক হেনস্তা করত, তাই কী এলোপাথাড়ি গুলি?

 

Previous articleসহকর্মীরা মানসিক হেনস্তা করত, তাই কী এলোপাথাড়ি গুলি?
Next articleপাখিরালয় দেখে ফেরার পথে নৌকাডুবি, কুলতলীতে মৃত ২, নিখোঁজ আরও ২