সহকর্মীরা মানসিক হেনস্তা করত, তাই কী এলোপাথাড়ি গুলি?

জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দু’ থেকে আড়াই মাস ধরে হেনস্থার শিকার হচ্ছিলেন হেড কনস্টেবল অক্ষয়কুমার মিশ্র। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট ও সহকর্মীরা মানসিক অত্যাচার করতেন, উপহাস করতেন। তাই রাগ ছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্ট সুবীর ঘোষের ওপর। জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। বিরক্ত হয়েই গুলি চালিয়েছেন তিনি, স্বীকার করেন অক্ষয়।

আরও পড়ুন:পার্কস্ট্রিটে জাদুঘরের কাছে ভরসন্ধেয় চলল গুলি: গুলিবিদ্ধ ১ সিআইএসএফ জওয়ান, এলাকায় চাঞ্চল্য

শনিবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে কলকাতার বুকে। পার্কস্ট্রিটের ভারতীয় জাদুঘর চত্বরে আচমকাই এক সিআইএসএফ জওয়ান এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। সিআইএসএফের একটি গাড়ি লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছিল সে। তার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জওয়ানের। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিসাধীন আরও একজন। কিন্তু কেন গুলি চালাল ঘাতক জওয়ান?

জানা গিয়েছে,ঘাতক ওই জওয়ানের নাম অক্ষয়কুমার মিশ্র, তার বাড়ি ওড়িশায়। তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিল সে। পুলিশ সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণে কিছুদিন ছুটির আবেদন জানিয়েছিল অক্ষয়। কিন্তু তার সেই ছুটির আবেদন বাতিল হয়ে গেছে বলে খবর।

প্রসঙ্গত, শনিবার ঘটনার সময় গাড়ির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এএসআই রঞ্জিত সারেঙ্গি ও ওই দুই অফিসার। সেই সময় রোলকল চলাকালীন আচমকাই সেন্ট্রি পোস্ট AK 47 রাইফেল ছিনিয়ে এনে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন CISF জওয়ান। নিজেদের বাঁচাতে গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন ইন্সপেক্টর ও  অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্ট। ভয়ে ১, ৪ ও ৫ নম্বর ব্যারাকে থাকা জওয়ান ও অফিসাররা ঘর ছেড়ে জাদুঘর চত্বরে একটি পুকুরপাড়ে আশ্রয় নেন। এর মধ্যেই গুলিতে মৃত্যু হয় এএসআই রঞ্জিত সারেঙ্গির। AK 47-এ থাকা ৩০ রাউন্ডের মধ্যে ১৫ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ৪ নম্বর ব্যারাকে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন CISF জওয়ান।

 

Previous articleজেলেও পার্থকে দেখে “চোর চোর” রব! অর্পিতাকে নিয়ে ”রসালো” মন্তব্য সহবন্দিদের
Next articleপার্থ-অর্পিতার নয়া কীর্তি ফাঁস ইডির: SSC ছাড়াও অন্য উপায়ে কোটি কোটি লেনদেন!