Monday, August 25, 2025

একইসঙ্গে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ মা ও ছেলের, নজির গড়লেন কেরলের বিন্দু

Date:

Share post:

শিক্ষার যে কোনও বয়স হয় না তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন কেরলের মল্লপুরমের (Malappuram) ৪২ বছর বয়সী বিন্দু। অনেক সময় দেখা যায় মা-বাবা নিজের স্বপ্নপূরণ করতে চান নিজেদের সন্তানের মাধ্যমে। কিন্তু এ যেন এক বিরল ঘটনা। ছেলের হাতে হাত রেখে একসঙ্গে স্বপ্নপূরণ করলেন মা সন্তানের হাতে হাত রেখে।

সম্প্রতি কেরল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (Public Service Commission) পরীক্ষার নোটিস বের হলে কেরলের মল্লপুরমের বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সী বিন্দু ও তাঁর ২৪ বছরের ছেলে বিবেক সিদ্ধান্ত নেন যে তিনিও পরীক্ষায় বসবেন। পরীক্ষায় বসার সমস্ত রকম যোগ্যতাও ছিল তাঁর। ফলে যেমন ভাবা তেমন কাজ। মা ও ছেলে একসঙ্গেই দেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে ফলাফল। আর তাতেই কেল্লাফতে। দেখা গিয়েছে ছেলে তো বটেই পরীক্ষাতে পাস করেছেন তাঁর মাও। র্যা ঙ্কিংয়ের নিরিখে ছেলে যেখানে ৩৮, আর মা ৯২। খুব শীঘ্রই সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে চলেছেন মা-ছেলে জুটি।

অন্যান্য আর পাঁচটা শিশুর মতো ছোটবেলা (Childhood) থেকেই লেখাপড়ায় মন ছিল না ছেলের। তবে, কীভাবে লেখাপড়া ছেলের মন বসানো যায় সেই নিয়ে সবসময় চিন্তা করতেন মা। আর চিন্তা করতে করতেই একদিন মুশকিল আসান। লেখাপড়ায় আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এবার ছেলের সঙ্গে নিয়ম করে পড়তে বসতে শুরু করলেন মা। আর সেখান থেকেই শুরু পথ চলা। তারপর কেটে গিয়েছে বহু বছর। লেখাপড়া চালিয়ে এসেছেন মা ও ছেলে।

বিন্দুর কথায়, বিগত ১০ বছর ধরে একজন অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা (Anganwadi Teacher) হিসাবে কাজ করছেন তিনি। সেই সঙ্গেই ছেলে যখন দশম শ্রেণীর ছাত্র তখন থেকেই নতুন করে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। একসঙ্গে নিতে শুরু করেন সরকারি চাকরির প্রস্তুতি এবং একসঙ্গেই একটি কোচিং সেন্টারেও ভর্তি হন। তবে প্রথম চেষ্টাতেই যে তারা সরকারি চাকরি পেয়েছেন তা একেবারেই নয়। বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পরে এসেছে এই সাফল্য। তিনি মনে করেন, কীভাবে কঠোর পরিশ্রম হাতেনাতে ফল দেয়, তিনিই তাঁর উদাহরণ।

বিন্দুর ছেলে বিবেক জানান, আমি ও মা কোচিংয়ের প্রস্তুতি একসঙ্গে নিতে গিয়েছিলাম। আমার মা আমাকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। আমরা শিক্ষকদের থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমরা দুজনে একসঙ্গেই লেখাপড়া করেছি, কিন্তু কখনও ভাবিনি যে আমরা একসঙ্গেই পিএসসি পরীক্ষার যোগ্যতা অর্জন করব। আমরা দু’জনেই খুব খুশি।

spot_img

Related articles

চাঞ্চল্যকর ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরে! প্রতিশোধ নিতে শিক্ষকের হাতের কব্জি কেটে নিল যুবক

রোমহর্ষক ঘটনা! প্রতিশোধ নিতে শিক্ষকের হাতের কব্জি কেটে নিল যুবক। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর...

একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস! মঙ্গলে জেলা সফরে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী

আগামিকাল, মঙ্গলবার বর্ধমানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সফর ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে...

বিদ্যাপতি সেতুর সংস্কার শুরু, ধাপে ধাপে সরানো হবে দোকান

শিয়ালদহ ফ্লাইওভার বা বিদ্যাপতি সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করতে চলেছে কেএমডিএ। তার আগে সেতুর নীচে গড়ে ওঠা দোকানগুলিকে...

দার্জিলিংয়ে প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, তাকদায় সূচনা নতুন দিগন্তের

চলতি সপ্তাহেই নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে দার্জিলিং পাহাড়ে। প্রথমবারের জন্য পাহাড় পাচ্ছে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে...