ভালবাসার টানে জার্মানি থেকে হুগলি, বিয়ের আসরে টোপর পরা জার্মান-বর

পাত্র ড্যানিয়েল (Daniel), জার্মানির বাসিন্দা। পাত্রীর নাম ত্রিয়া (Triya Chatterjee), আদ্যন্ত বাঙালি মেয়ে। কর্মসূত্রে বেশ কিছুটা সময় তাঁকে কাটাতে হয়েছিল জার্মান ভূমিতে। তখনই পরিচয় হয় ড্যানিয়েলের সঙ্গে। হাসিখুশি মিশুকে ছেলেটা ভারতীয় সংস্কৃতিকে খুব পছন্দ করে। অজান্তেই তাঁকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন বঙ্গ ললনা।

ঠিক যেন ইংলিশ বাবু আর বাঙালি প্রেম। গল্পটা অনেকটা সিনেমার (Cinema) মতো। ভালবাসার টানে সাত সমুদ্র পার করে প্রিয়তমাকে নিজের করে নেওয়া। এবার সম্পর্ক হল জার্মানির (Germany) সঙ্গে চুঁচুড়ার (Chinsura)। বিদেশি বর বাঙালির রীতি মেনে বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে। হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায় লোকসংস্কৃতির আবহে মঙ্গলবার দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বাগদান পর্ব (Engagement ceremony) সম্পন্ন হল।

পাত্র ড্যানিয়েল (Daniel), জার্মানির বাসিন্দা। পাত্রীর নাম ত্রিয়া (Triya Chatterjee), আদ্যন্ত বাঙালি মেয়ে। কর্মসূত্রে বেশ কিছুটা সময় তাঁকে কাটাতে হয়েছিল জার্মান ভূমিতে। তখনই পরিচয় হয় ড্যানিয়েলের সঙ্গে। হাসিখুশি মিশুকে ছেলেটা ভারতীয় সংস্কৃতিকে খুব পছন্দ করে। অজান্তেই তাঁকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন বঙ্গ ললনা। জার্মান পাত্র ড্যানিয়েলের একান্ত ইচ্ছা ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পূর্ন পরিচিত না হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না। শেষ পর্যন্ত প্রেমিকের সেই ইচ্ছাপূরণ করতে সুদূর জার্মানি থেকে যুগলে ছুটে এলেন হুগলির চুঁচুড়ায়। চুঁচুড়া স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মহেশপুরে (Maheshpur)গ্রামবাংলার প্রকৃতির মাঝে এক অনুষ্ঠানবাড়িতে লোকসংস্কৃতির আসর বসে। সেখানেই বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। বুধবার বিয়ের দিন সকাল থেকেই জার্মান পাত্র ধুতি পাঞ্জাবিতে পুরো বাঙালি বাবু। বরের কাণ্ডকারখানা দেখে হেসে লুটোপুটি কনে। ত্রিয়া চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০১৪ সালে তিনি জার্মানি গিয়েছেন। সেখানে ইন্টার্নশিপ করতে গিয়ে ড্যানিয়েলের সঙ্গে পরিচয়। জার্মানির সংস্কৃতির সঙ্গে তিনি অনেকটাই পরিচিত। নববধূকে বরণ করতে জার্মান থেকে হাজির হয়েছেন ড্যানিয়েলের পরিবারের লোকেরাও। দুই সংস্কৃতি ভালোবাসার টানে মিলেমিশে একাকার, সাক্ষী রইল হুগলির চুঁচুড়া।

Previous articleগরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রতকে আজই আদালতে পেশ?
Next article‘‌এই খাবার কুকুরও খাবে না’‌, ফিরোজাবাদে এক পুলিশকর্মীর অভিযোগে উত্তাল যোগী রাজ্য