বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতায় (Kolkata)আনা হল গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে( Anubrata Mondal)। রাত পৌনে ৩টে নাগাদ নিজাম প্যালেসে(Nizam Palace) তাঁকে নিয়ে ঢোকে সিবিআইয়ের(CBI) গাড়ির কনভয়। এদিন আসানসোলের বিশেষ আদালতে তোলা হলে তাঁকে তোলা হলে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত CBI হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তারপরেই সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। পথে ধনেখালিতে যানজটে আটকে যায় কনভয়। সে সময় অনুব্রতর প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা করেন সাংবাদিকরা। তবে, কোনও কথার উত্তর না দিয়ে ঘন ঘন জল খেতে থাকেন তিনি। তবে, কথা না বললেও আসানসোল আদালত থেকে বেরিয়ে সিবিআইয়ের গাড়িতে ওঠার পর থেকেই ঘন ঘন চোখের জল মুছতে দেখা যায় অনুব্রতকে। শেষে স্থানীয় পুলিশের হস্তক্ষেপে যানজট কাটিয়ে কলকাতা উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সিবিআইয়ের গাড়ি।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশাল দল এদিন আসানসোল আদালত চত্বরে অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে রেখেছিল। ঘেরাটোপেই আদালত কক্ষ থেকে সিবিআইয়ের গাড়িতে ওঠেন তিনি। সেখান থেকেই রওনা দেয় সিবিআইয়ের কনভয়। অনুব্রতকে নিয়ে রাত পৌনে তিনটে নাগাদ কলকাতার নিজাম প্যালেসে পৌঁছয় সিবিআই(CBI)।
এদিকে, অনুব্রতের জন্য কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতালে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। হেফাজতে থাকাকালীন তিনি অসুস্থ হলে আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে অনুব্রতকে গড়ে দিয়েছেন বিচারক। তাঁরা পরামর্শ দিলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি করানো যাবে অনুব্রতকে, না হলে নয়।

গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের ১৪দিনের হেফাজতের আর্জি জানান সিরিয়াল আইনজীবী। অনুব্রতর আইনজীবীরা জামিনের আর্জি করেননি। এদিন বিচারকের সামনে এজলাসে দাঁড়িয়ে অনুব্রত নিজেই শারীরিক সমস্যার কথা জানান। বলেন, “বুকে ব্যথা আছে। পা ফোলা আছে। কিডনির সমস্যা আছে।” পাশাপাশি ফিসচুলা, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কথা বিচারকের সামনে উল্লেখ করেন তিনি। দু’পক্ষের আর্জি শোনার পর আসানসোল বিশেষ আদালতের বিচারক অনুব্রত মণ্ডলকে ১০দিনের CBI হেফাজতের নির্দেশ দেন।
