সতীশ কুমারের আমলে সব থেকে বেশি গরুপাচার! তদন্তে নজরে অনুব্রতর সম্পত্তি

হেফাজতে নেওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) দফায় দফায় জেরা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নজরে রয়েছে তাঁর সম্পত্তির উপর। একইসঙ্গে যে গরুপাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে- তার সঙ্গে তিনি কীভাবে জড়িত সেটা জানতেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে CBI সূত্রে খবর। একইসঙ্গে গরুপাচার কাণ্ডে BSF-র 36 নম্বর বাটালিয়ানের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের (Satish Kumar) যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর আমলেই সবচেয়ে বেশি গরুপাচার হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

অনুব্রতকে ১০ বার ডেকেছিল সিবিআই। উনি গিয়েছিলেন মাত্র একবার। এরপরেই তাঁকে বোলপুরের নীচুপল্লি এলাকা থেকে নিয়ে যায় সিবিআই। গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এরপরই দফায় দফায় তাঁর জেরা চলছে সিবিআই হেফাজতে। বোলপুর সহ-সংলগ্ন এলাকায় স্ত্রী ও কন্যার নামে অনুব্রত বিপুল সম্পত্তি রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। রয়েছে বহু একর জমি। একই সঙ্গে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছে, অনুব্রতর নিউটাউনের (NewTown) বাড়িসহ অন্যান্য ফ্ল্যাটও। অনুব্রত দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণ একশো কোটিরও বেশি বলে মনে করছে সিবিআই। সূত্রে খবর, সেহগলকে জেরা করেই অনুব্রত সম্পর্কে বহু তথ্য মিলেছে।

এদিকে, সতীশ কুমার বিএসএফের 36 নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট থাকার সময় সবচেয়ে বেশি গরুপাচার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ভিন রাজ্য থেকে গরু আসত। তারপর তা নিলাম হত। নিলাম হওয়া গরুগুলোকে ফের হাটে আনা হত। সেই হাটের দায়িত্বে ছিলেন সতীশ কুমারেরই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। এরপরে হাট থেকে সেই গরুগুলি বিক্রি হয়ে পাচার হত। সতীশ কুমারের আমলে কুড়ি হাজার গরুপাচার হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। একইসঙ্গে যারা গিয়েছে গরু পিছু ২০০০ টাকা করে যেত বিএসএফের কাছে। টাকা ঘুর পথে প্রভাবশালীদের কাছে যেত বলেও অনুমান সিবিআইয়ের।

Previous articleজঙ্গি যোগ! হিজবুল প্রধানের পুত্র-সহ ৪ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল জম্মু-কাশ্মীর সরকার
Next articleশিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক