মানসিকভাবে বিপর্যস্ত: CBI-কে ফেরালেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা, জিজ্ঞাসাবাদ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকে

বাবা সিবিআই হেফাজতে, মা সদ্য মারা গিয়েছেন। এই পরিস্থিতি তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সুতরাং তিনি কোনও কথা বলতে পারবেন না। বুধবার, সকালে বোলপুরে তাঁর বাড়িতে যাওয়া সিবিআই আধিকারিকদের ফেরালেন অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal)। মাত্র ১০ মিনিট তাঁরা সেই বাড়িতে ছিলেন। তারপরেই অনুব্রতর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই সঙ্গে এদিন পূর্ব পল্লিতে সিবিআই-এর ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারিকে (Manish Kothari)। বেলা একটা নাগাদ বোলপুরে অনুব্রতর বাড়ির কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের ২ আধিকারিক।

গরুপাচার মামলার তদন্তে বোলপুরের বাড়ি থেকেই বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। আপাতত তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার এই মামলায় অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও (Sukanya Mandal) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল সিবিআই। সেই মতো বুধবারই বোলপুরে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এক মহিলা আধিকারিক-সহ অনুব্রতর বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। কিন্তু কথা বলতে চাননি সুকন্যা। বাবা সিবিআই হেফাজতে, মা মারা গিয়েছেন মাত্র একবছর আগে। ফলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে কোনও মহিলাকে জোর দিতে পারে না সিবিআই। সেই কারণেই ১০ মিনিট সেখানে থেকে সিবিআইয়ের দল বেরিয়ে যায় অনুব্রতের বাড়ি থেকে।

এদিন, সুকন্যার কাছে যাওয়ার আগে সিবিআই-এর ক্যাম্পে প্রায় দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে। ডাকা হয় ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরও। এদিন অনুব্রতর বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে এলাকা ছেড়ে চলে যায় সিবিআই। কিছু দূর গিয়ে ফের গাড়ি ঘুরিয়ে ওই বাড়ির কাছে থাকা একটি রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ব্যাঙ্কে যান তদন্তকারীরা। দুজন আধিকারিক ভিতরে ঢুকে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন। ১০ মিনিট সেখানে থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা।

গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীকে আরেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ১০ বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেও মাত্র একবার যান অনুব্রত। দশমবারেই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা চালানো হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যাতে সহ-মালিকানা রয়েছে সুকন্যারও। ইতিমধ্যেই অনুব্রতর মেয়ের নামে রাইস মিল-সহ অন্যান্য সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত সুকন্যার বোলপুরেই দশটি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। পেশায় স্কুলশিক্ষিকা সুকন্যার নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়া অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ, বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।

 

 

Previous articleJalpaiguri: চিতাবাঘ-রেড পান্ডার চামড়া পাচার রুখে দিল বন দফতর
Next articleঅভিষেকের প্রতিশ্রুতি মতো টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে আজ বৈঠক ব্রাত্যর