করোনা সংক্রমণ(Corona Virus) আগের চেয়ে কমলেও দুশচিন্তা পিছু ছাড়ছে না। এরই মাঝে রাজ্যে শুরু হচ্ছে পুজো মরসুম। সেদিকে নজর রেখেই তৎপর হয়ে উঠল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। পুজোর আগেই রাজ্যের সমস্ত যোগ্য প্রাপককে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ(Buster Dose) দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর(Helthh Ministry) নির্দেশ দেওয়া হল। শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের পৌরহিত্য এ এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব সহ দফতরের অন্যান্য আধিকারিক,সব জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ছয় কোটির বেশি মানুষ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন যার মধ্যে ১কোটি ২১লক্ষ ৬৫ হাজার মতো মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। বাকি ৫কোটির বেশি মানুষের এখনও পর্যন্ত এই বুস্টার ডোজ বকেয়া রয়েছে। তাঁরা যাতে পুজোর আগেই বুস্টার ডোজ পান তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা কর্মীদের এই কাজে নিযুক্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের দেওয়া টাকা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট খাতে খরচ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, নতুন আশা কর্মীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শেষ করতে হবে।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুস্টার ডোজ বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে জেলাগুলিকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই যাতে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ করা যায় সেই বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয় বলেই সূত্রের খবর। এর আগেও মুখ্য সচিব করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করার সময় বুস্টার ডোজ ৩১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেওয়ার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। তারপরেও একাধিক জেলায় ডোজ নেওয়ার আগ্রহ তেমন একটা দেখা যায়নি বলেই সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে জেলাগুলি যাতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে প্রচার কর্মসূচির মাধ্যমে বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রবণতা বাড়াতে পারে, তার জন্যই এই দিনের বৈঠকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।