গুজরাট মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল, কেজরি ঢেউয়ে উদ্বিগ্ন বিজেপি?

একের পর এক জনবিরোধী নীতির জেরে মোদি-শাহদের নিজ ঘাঁটি গুজরাটে(Gujrat) অস্তিত্ব সংকটে বিজেপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঝপথেই মুখ্যমন্ত্রী সহ গোটা মন্ত্রিসভা বদল হয়েছিল। বছর পার হতে না হতেই ফের বড়সড় রদবদল হল গুজরাটে। ডানা ছাঁটা হল দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর। আর কয়েকমাস পরেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন তার ঠিক আগে এই ঘটনার পিছনে বিজেপি(BJP) কেজরির কালো মেঘ দেখছে বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে গুজরাট সরকার জানিয়েছে, রাজ্যের দুই মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী (Rajendra Trivedi) এবং পূর্ণেশ মোদির (Purnesh Modi) দায়িত্ব কমানো হল। এরা দু’জনেই একইসঙ্গে একাধিক মন্ত্রক সামলাচ্ছিলেন। রাজেন্দ্র ত্রিবেদীর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে রাজস্ব দপ্তর। সড়ক ও নির্মাণ দপ্তরের মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পূর্ণেশ মোদি। দুই মন্ত্রীর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া দায়িত্ব এখন থেকে সামলাবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel)। তবে আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক মন্ত্রীসভা বদল হলেও এর পিছনে রাজনৈতিক অঙ্ক দেখছে রাজনৈতিক মহল। আগামী ডিসেম্বর মাসে গুজরাটে নির্বাচন। তার আগে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি (BJP)। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গুজরাট নিয়ে এবছর ভালমতো চাপে আছে বিজেপি।

২০১৭ সালে গুজরাট নির্বাচনে মোদির রাজ্যে কোনওমতে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এবার সেখানে বিজেপি বিরোধী হাওয়া আরও প্রবল। এই পরিস্থিতিতে একেবারে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। পাঞ্জাব জয়ের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করেছে অরবিন্দ আপ। গুজরাটে ইতিমধ্যেই আপের মাস্টারস্ট্রোক বিনামূল্যে বিদ্যুতের ঘোষণা করেছে তারা। পাশাপাশি তুলে ধরা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশংসিত দিল্লির স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মডেলকে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির ভাবমূর্তি ব্যাপক নষ্ট হয়েছে বিলকিস বানোর অপরাধীদের মুক্তির ঘটনায়। এমতবস্থায় আপের চাপ কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল সব বিভাগে স্ক্রুটিনি করাচ্ছেন। একইসঙ্গে চলছে ছাঁটাই পর্ব।

Previous articleপ্রয়াত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দেবব্রত বসু
Next articleটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঝাড়গ্রাম, প্লাবনের আশঙ্কায় এলাকাবাসী