‘হামলার’ অভিযোগে উপাচার্যকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যপাল, দিলেন ‘অপরাধী’ তকমাও

প্রকাশ্যে এল রাজ্যপাল-উপাচার্য সংঘাত। কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kannur University) উপাচার্যকে (Vice Chancellor) এবার ‘অপরাধী’ (Criminal) বলে মন্তব্য করলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Governor Arif Mohammed Khan)। উপাচার্য গোপীনাথ রবিন্দ্রনকে (Gopinath Ravvendran) কাঠগড়ায় তুলে রাজ্যপালের অভিযোগ, দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) আন্দোলন চলাকালীন কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। আর সেই আক্রমণের ষড়যন্ত্রের পিছনে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল উপাচার্যের। রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদের আরও অভিযোগ, আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার ষড়যন্ত্রে উনি অংশীদার ছিলেন। তিনি একজন ‘অপরাধী’। রাজনৈতিক কারণে তিনি ভিসি পদে বসে আছেন। ভিসি নিজেই আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ (Invitation) জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমার ওপর যখন হামলা (Attack) হল তিনি সেইসময় হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন। কোনও দায়িত্বই তিনি পালন করেন নি। এমনকি পুলিশকেও তিনি কিছু জানাননি। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই গোপিনাথকে কাঠগড়ায় তুললেন আরিফ মহম্মদ খান।

এছাড়াও সেদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে ঠিক কি হয়েছিল তার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট উপাচার্যকে রাজভবনে পাঠানোর নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। তবুও তিনি কিছুই পাঠাননি। এরপর রাজ্যপাল জানান, স্বাভাবিকভাবে কোনও উপাচার্যের বিরুদ্ধে কিছু বলা আমার কাজ নয়। তবে আমাকে যদি ব্যবস্থা নিতেই হয়, আমি তা নিতে পারব। আমার সেই ক্ষমতা আছে। শালীনতা, শৃঙ্খলার সমস্ত সীমা তিনি অতিক্রম করেছেন। ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়কে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে চ্যালেঞ্জ করে কেরল সরকারের আদালতে যাওয়ার প্রশ্নেও গত বছর রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত বেধেছিল। বিজেপি আমলে একাধিক রাজ্যপালের মতো আরিফও গেরুয়া বলয়ে কাজ করছেন, এই অভিযোগ আগেও উঠে এসেছিল। তবে নিজের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন- নজরে পঞ্চায়েত, সোমবার ৩ সংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক

Previous articleনজরে পঞ্চায়েত, সোমবার ৩ সংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক
Next articleবিকলাঙ্গ নবজাতকের দ্রুত চিকিৎসায় নতুন পোর্টাল চালু রাজ্যের