Thursday, December 18, 2025

আজাদের দেখানো পথেই কংগ্রেসের ‘হাত’ ছাড়লেন আনন্দ, চিঠি সোনিয়াকে

Date:

Share post:

“আত্মসম্মানের সঙ্গে আপোস করতে পারব না”, রবিবার সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে হিমাচল প্রদেশের স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি (Chairman of the Steering Committee of Himachal Pradesh) পদ থেকে ইস্তফা (Resign) দিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)। কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আরেক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ (Gulam Nabi Azad)। আর আজাদের দেখানো পথেই এবার হিমাচল প্রদেশের স্টিয়ারিং কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন আনন্দ শর্মা।

কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) লেখা চিঠিতে আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে তাঁর আত্মসম্মানে আঘাত করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, দলের কোনও বৈঠকেই আমন্ত্রণ জানানো হয় না তাঁকে। পাশাপাশি নেওয়া হয় না তাঁর কোনও পরামর্শও। এরপরই তিনি জানান আত্মসম্মান (Self Respect) নিয়ে তিনি আপোস করতে পারবেন না। তবে রাজ্যে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে তিনি প্রচার চালিয়ে যাবেন বলেই সোনিয়া গান্ধীকে চিঠিতে জানিয়েছেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

১৯৮২ সালে আনন্দ শর্মা প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৮৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভার টিকিট দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi)। সেই সময় থেকে তিনি রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন। তবে আনন্দ শর্মার মতো এমন একজন প্রবীণ নেতার পদত্যাগ হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসে যে বড় প্রভাব ফেলল তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ইতিমধ্যে দলত্যাগ করেছেন কংগ্রেসের আরও এক বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন তিনি। আর আনন্দ শর্মা সিব্বলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল তবে কি কপিল সিব্বলের হাত শক্ত করতে চাইছেন আনন্দ? তবে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে কংগ্রেসে থাকার বার্তাই দিয়েছেন তিনি।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, কংগ্রেসের অন্দরের এই কোন্দল পরোক্ষে হিমাচলপ্রদেশ বিজেপিকে (BJP) কিছুটা হলেও বাড়তি অক্সিজেন জোগাল। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের নভেম্বর মাস নাগাদ ভোট হবে এই পার্বত্য রাজ্যে। একসময় হিমাচলপ্রদেশ কংগ্রেসের দখলে থাকলেও এখন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আর গেরুয়া শিবিরের হাত থেকেই এবার ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস। সেই টার্গেটকে সামনে রেখেই তৈরিও হচ্ছে একের পর এক রণকৌশল। তবে আনন্দ সরে যাওয়ায় কংগ্রেসের মিশন হিমাচলপ্রদেশে কেমন প্রভাব পড়ল তা জানার জন্য নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।

 

 

spot_img

Related articles

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...

২২ জানুয়ারি থেকে শুরু ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, ভার্চুয়ালেও মিলবে মেলার স্বাদ

আর দেড় মাসের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বইপ্রেমীদের জন্য এ...

যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা-কাণ্ডে শোকজের জবাব জমা তিন শীর্ষ কর্তার

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনায় শোকজের জবাব জমা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, ক্রীড়া...