‘ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়’! প্রমাণ করে দেখালেন বাঁকুড়ার ভারতী

মেয়ে মানেই খেলনাবাটি, হাতাখুন্তি, অল্প পড়াশুনো আর বিয়ে। মেয়ে হয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াবে, ফুটবল খেলবে, এ যেন সমাজে দুঃস্বপ্ন। ভারতী মুদির পায়ে এই সমাজই একসময় লাগাম পরিয়েছিল। কিন্তু সেই সব বাধা সরিয়ে ভারতী মুদি মহিলা মহলে এখন বহুচর্চিত। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে তৈরি করেছেন মহিলা ফুটবল দল।

আরও পড়ুন:সামান্য সরকারি চাকুরের সম্পত্তি ৩০০ কোটি টাকা !

বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের একটি গ্রামের বাসিন্দা ভারতী মুদি। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল ফুটবল খেলবেন। কিন্তু সমাজের নানান জটিলতা পার করে ইচ্ছে থাকলেও তা হয়ে ওঠেনি। নিজের উপর ভরসা থাকলেও বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দেন। তারপরই সেই হাতা খুন্তি। জন্ম নেয় এক শিশুকন্যাও। তবে ফুটবলের প্রতি অদম্য জেদ বরাবরই ছিল। সেইসঙ্গে ছিল ইচ্ছেশক্তিও।তাই সমাজের কাছে এবারে আর নথিস্বীকার করে নয়। স্বামীর হাত ধরে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই গড়ে তোলেন ফুটবলের টিম। তার কোচ ভারতী মুদি। এই টিমের সব সদস্যই পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর পরিবার থেকে উঠে আসা। ভারতী দেবীর বক্তব্য ‘এই ইচ্ছে কখনই সফল হত না, যদি স্বামী পাশে না থাকতেন।’

মেয়ে এবং মেয়ের বন্ধুদের সঙ্গী করে ভারতী মুদির টিম এখন শুধু জেলায় নয়, কলকাতাতেও নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে এই টিম।পাশাপাশি মহিলা খেলোয়াড়ের সম্মান নিয়ে জেলা পুলিশে মিলেছে চাকরিও।  ভারতীর স্বপ্ন এখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা।

Previous articleনিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার!
Next articleদুই বাংলার কবিতা পাঠ ও গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে চাঁদেরহাট অণ্ডালে