বিজেপির দুই ভাই ইডি (Enforcement Directorate) আর সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে (Central Investigation Agency) রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির। এই অভিযোগেই মঙ্গলবার বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সের (CGO Complex) বাইরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের (TMC Social Media Cell) কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্য জুড়ে একাধিক দুর্নীতির (Corruption) তদন্তে নেমেছে সিবিআই-ইডি। ইতিমধ্যে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জেলে যেতে হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও (Anubrata Mondal)। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মীরা। বিক্ষোভের জেরে এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়৷ সিজিও কমপ্লেক্সে মোতায়েন সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বাধে তৃণমূল কর্মীদের৷

মঙ্গলবার আচমকাই সল্টলেকের বিকাশ ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মীরা। অভিযোগ ইডি এবং সিবিআই কেন্দ্রীয় সরকারের কথা মতো কাজ করছে। বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদেরই নিশানা করা হচ্ছে। অথচ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এরপরই বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নামে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও শুধুমাত্র বিজেপি করার সুবাদে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের আরও অভিযোগ, ইডি আর সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা হলেও নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও অমিত শাহের (Amit Shah) হাত ধরে সারা বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নকে স্তব্ধ করার জন্য প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। ইডি ও সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা ফেরানোর দাবিতে এদিনের সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও কর্মসূচী বলে দাবি তৃণমূলের। পাশাপাশি তৃণমূলের আরও অভিযোগ বর্তমানে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স।
