“কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসুন, খরচ আমি দেবো”, ভাঙা সংসার জুড়তে দম্পতিকে পরামর্শ বিচারকের

সৌভিক গুপ্ত ও শ্রেয়া গুপ্ত তাঁদের পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ঘুরত যাবেন বলে মনস্থির করেছেন

ভাঙা মন, ভাঙা সম্পর্ক জুড়তে নজিরবিহীন প্রস্তাব দিলেন আদালতের বিচারক। এক দম্পতির ভেঙে যাওয়া “সম্পর্ক” জুড়তে বিচারক তাঁদেরকে দিন তিনেকের জন্য বাইরে কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসার পরামর্শ দেন। শুধু তাই নয়, এই ঘুরতে যাওয়ার খরচ নিজের পকেট থেকে বিচারক দেবেন বলেও ওই দম্পতিকে জানান। এমনই নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী কলকাতার নগর দায়রা আদালত। মুখ্য বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলালের এই নির্দেশ রীতিমতো সাড়া ফেলেছে আদালত চত্বরে। বিচারকের মানবিকতা, মানসিকতার প্রশংসায় সকলে পঞ্চমুখ।

আরও পড়ুন: মানবিক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়: সৎ মায়ের বঞ্চনায় অতিষ্ঠ ছেলেকে নতুন ঠিকানা

খুশি দম্পতিও। সৌভিক গুপ্ত ও শ্রেয়া গুপ্ত তাঁদের পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ঘুরত যাবেন বলে মনস্থির করেছেন। বিচারকের নির্দেশ মেনে আগামী ৯‑১১ সেপ্টেম্বর ওই বেড়াতে যাবেন বলে স্থির করেছেন। তবে আদালতের কিছু শর্ত আছে। শুধু বেড়িয়ে এলেই চলবে না, ১৫ সেপ্টেম্বর ‌আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে দম্পতিকে। বাইরে থাকাকালীন প্রতিদিন একবার স্থানীয় থানায় গিয়ে দম্পতিকে হাজিরাও দিয়ে আসতে হবে।

কিন্তু কেন এমন নজিরবিহীন উপদেশ বা নির্দেশ দিলেন বিচারক? শুনানি চলাকালীন বিচারক বলেন, “আপনাদের একসঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়া উচিত। তার যাবতীয় খরচ আমি বহন করব। আমার একটাই আর্জি, আপনাদের এই ভ্রমণ যেন নতুন বার্তা নিয়ে আসে। যা সবাইকে স্বস্তি দিতে পারে। আমি চাই আপনাদের সন্তানকে নিয়ে আপনারা সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন কাটান। মনে রাখবেন, ভেঙে ফেলা অনেক সোজা। কিন্তু জোড়া লাগানোর কাজ অনেক বেশি কঠিন। আপনারা ভালো থাকলে দেখবেন আপনাদের সন্তানও ভালো থাকবে। না হলে আপনাদের সন্তানের উপরই মানসিক চাপ বাড়বে।”