‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা দিল্লি হাইকোর্টের, কেন্দ্রকে চিঠি

৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমার নির্দেশ

0
1

অগ্নিপথ প্রকল্প (Agnipath Scheme) নিয়ে বড় ঘোষণা করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। বৃহস্পতিবার, একটি রায়ে হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। সেনা বাহিনীতে (Indian Army) খুব কম সময় নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক মামলা দায়ের হয় দিল্লি হাইকোর্টে। আর সেইসব মামলার শুনানির আগে কেন্দ্রকে নোটিশ দিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিল আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টকে হলফনামা জমা দিতে হবে কেন্দ্রকে। ১৯ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

চলতি বছরের জুন মাসে অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry) সাফ জানিয়ে দেয় এবার থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে জওয়ান নিয়োগ করা হবে। কেন্দ্রের যুক্তি হাজার হাজার যুবক সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে। কিন্তু সমস্যা হল চার বছর প্রশিক্ষণের (Training) পর দুই-তৃতীয়াংশকেই অবসর নিতে হবে। ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সীদের চুক্তিভিত্তিক (Contractual) এই প্রকল্পে নেওয়া হবে। সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সেই ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে কেন্দ্র প্রকল্পটি ঘোষণা করার পরদিন থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ। কোথাও ট্রেন জ্বালিয়ে, কোথাও রাস্তা অবরোধ করে, আবার কোথাও রাস্তায় আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনে সামিল হয় দেশবাসী। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। বিহারে বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করার পর থেকেই ধীরে ধীরে সেই আগুনের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে রাজস্থান, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক জায়গায়। বাদ পড়েনি বাংলাও। তারপর পরিস্থিতি সামাল দিতে ২১ বছরকে বাড়িয়ে অগ্নিবীর হওয়ার উর্দ্ধসীমা ২৩ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। পাশাপাশি অগ্নিবীরদের কীভাবে অবসরের পর বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে (Government Job) অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সেই মর্মে কেন্দ্র একটি নির্দেশিকা (Guidelines) জারি করে। আর তারপরই কিছুটা ক্ষতে প্রলেপ পড়ে। আঁচ কমে প্রতিবাদের।

তবে দেশের একাধিক আদালতে দায়ের হওয়া মামলাগুলি এখনও বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক সব মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাইকোর্টে। আর তারপরই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠাল হাইকোর্ট।