অযোগ্য হেমন্ত ! কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ রাজ্যপালের, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কল্পনা সোরেন ?

আদ্যোপান্ত ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে কল্পনা নিজেও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কোনও রাজনৈতিক সভায় তাঁকে দেখা যায় না। নারীদের ক্ষমতায়ন এবং শিক্ষা নিয়ে নিয়মিত আলোচনা সভায় তিনি উপস্থিত থাকেন। নিজে একটি স্কুলও চালান কল্পনা। 

বিধায়ক হিসেবে ‘অযোগ্য’ ঘোষিত হলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। শুক্রবার এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল রমেশ বাইস। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই সুপারিশ করেছিল নির্বাচন কমিশন।যার নিট ফল,সঙ্কটে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং কংগ্রেসের জোট সরকার। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) বিধায়ক পদ খারিজ হলে তার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দাবিদার হিসাবে যে নাম জোরদার ভাবে উঠে এসেছে, তিনি কল্পনা সোরেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান শিবু সোরেনের পুত্রবধূ এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রীই হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

পুরোদস্তুর রাজনৈতিক পরিবারের বধূ হলেও রাজনীতির ধারে কাছে ঘেঁষেন না কল্পনা।এদিক থেকে তার সঙ্গে অনেকটাই মিল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদের স্ত্রী রাবড়ি দেবীর। তবে  রাবড়ি ছিলেন গৃহবধূ আর আদ্যোপান্ত ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে কল্পনা নিজেও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কোনও রাজনৈতিক সভায় তাঁকে দেখা যায় না। নারীদের ক্ষমতায়ন এবং শিক্ষা নিয়ে নিয়মিত আলোচনা সভায় তিনি উপস্থিত থাকেন। নিজে একটি স্কুলও চালান কল্পনা।

যদিও কুর্সি বিপাকে পড়তেই দলীয় বিধায়কদের নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হবে কিনা সেই প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপাল। যদিও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শাসক দলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কোনও অবস্থাতেই বর্তমান সরকার সংকটে পড়বে না। শুক্রবার United Progressive Alliance (UPA) নেতাদের নিয়ে নিজের বাসভবনে একটি বৈঠক করবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী হয়েও ঝাড়খণ্ডের এক খনির লিজ হেমন্ত সোরেনের নামে রয়েছে। এই অভিযোগ করে রাজ্যপালের কাছে দরবার করেছিল বিজেপি। সেই অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ চেয়ে পাঠান ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বৈশ্য। মুখবন্ধ খামে  সেই সুপারিশপত্র এসে পৌঁছেছে ঝাড়খণ্ড রাজ ভবনে। ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকাকালিন হেমন্ত সোরেন ওই খনির বরাত দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।