ডুরান্ড কাপে মুখোমুখি মোহন-ইস্ট, ডানকুনিতে দেখা গেল ‘রেষারেষির’ ছবি

দীর্ঘ ৩ বছরের অপেক্ষা শেষে রবিবাসরীয় সন্ধেতে শহর কলকাতায় ফিরছে আবেগ ও ঐতিহ্যের ডার্বি (Derby Match)। আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yuba Bharati Krirangan) মুখোমুখি হতে চলেছে ময়দানের চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ও ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। রবিবার সন্ধেয় ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ম্যাচ ঘিরে রীতিমতো সরগরম কলকাতা তথা গোটা রাজ্য। প্রতিপক্ষকে সহজে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ দুদলেরই ফুটবলাররা। ইতিমধ্যে যুবভারতীতে এসে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ময়দানের দুই প্রধানের সমর্থকরা।

এদিন শহর কলকাতার পাশাপাশি ডার্বি জ্বরে (Derby Fever) কাঁপছে ডানকুনির (Dankuni) কালীপুর পূর্বাসা এলাকাও। রবিবার ওই এলাকায় দেখা গেল চরম রেষারেষির ছবি। একই পাড়ার বাসিন্দা হলেও ডার্বির দিনটা আর পাঁচটা সাধারণ দিনের থেকে যে একটু হলেও আলাদা তা স্পষ্ট। মাঠের ভিতরের ৯০ মিনিট শুধু নয়, মাঠের বাইরেও দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে রেশ থাকে ম্যাচের। একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান, টিপ্পনিতে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। তবে ডার্বির দিনের ছবিটা একটু হলেও ভিন্ন। কেউ জপছেন ইষ্ট নাম, আবার কেউ কেউ নিজেদের দলের সাফল্য কামনা করে ভগবানের কাছে রাখছেন ব্রতও। ডানকুনির পূর্বাশা এলাকায় তেমনই ছবি ধরা পড়লো। এই পাড়াতেই একদিকে থাকেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক তন্ময় ভৌমিক এবং অপরদিকেই থাকেন মোহনবাগান সমর্থক অভিজিৎ দত্ত। প্রিয় ক্লাবের পতাকার রঙে সেজে উঠেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সমর্থকদের বাড়ি। বাড়িতে দেওয়ালের রং থেকে শুরু করে জলের ট্যা ঙ্ক, এমনকি বাড়ির জানলার পর্দার রঙেও প্রিয় ক্লাবের ছোঁয়া। একটু আলাদা স্কিলে বিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার কোনরকম সুযোগই ছাড়তে নারাজ দুই পক্ষের সমর্থকরা।

এদিন সকাল থেকে তন্ময়ের বাড়িতে রান্না হয়েছে ইলিশের একাধিক পদ। ভাজা, সর্ষে বা ভাপা ইলিশ সবকিছুই আছে মেনুতে। আজ দিনটা তন্ময়ের কাছে শুধুই লাল হলুদ আর ইলিশ। অন্য কোনও দিকেই মন নেই ডানকুনির বাসিন্দার। বাড়িতে বসে নয়, খেলা দেখতে বেলাবেলি যুবভারতীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তন্ময়। তবে ছেলে মাঠে খেলা দেখতে গেলেও পরিবার ঘরে বসে টিভিতে নজর রাখবেন। অন্যদিকে অভিজিৎও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। সকাল সকাল বাজারে গিয়ে বড় সাইজের চিংড়ি নিয়ে এসেছেন তিনি। বাড়িতে লাঞ্চের মেনুতে স্বভাবতই জায়গা করে নিয়েছে চিংড়ির মালাইকারী। তবে বড় ম্যাচের উত্তেজনায় বাড়িতে বসে থাকতে না পেরে দুপুরেই সল্টলেকের যুবভারতীতে পৌঁছে গেছেন অভিজিৎ।

 

Previous article“জাগো দুর্গা”-র পোস্টার প্রকাশিত হল
Next articleহুগলিতে গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার প্রতারণায় যুক্ত একই পরিবারের ৩ জন!