হুগলিতে গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার প্রতারণায় যুক্ত একই পরিবারের ৩ জন!

মোট ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার একশো টাকা হাতানোর অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত সাকিবের বিরুদ্ধে। তারপর কেটে গেছে প্রায় দু’বছর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গাড়ি হাতে পাননি মমতাজ।

রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্পে (Gatidhara Scheme) গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ (Bhadreswar Police)। ২০১৯ সালে হুগলির চাঁপদানির ব্যবসায়ী (Businessman) মহম্মদ মমতাজ আনসারীকে গতিধারা প্রকল্পে গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা মহম্মদ সাকিব।

সেইমতো কলকাতার অফিসে মমতাজকে ডেকে পাঠায় সাকিব। তারপরই বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে সাকিব দাবি করে তার সঙ্গে সব নেতা মন্ত্রীদের পরিচয় আছে। তাই তাড়াতাড়ি গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি তিনি পাইয়ে দিতে পারবেন। এরপরই মমতাজের থেকে কয়েকটি কিস্তিতে মোট ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার একশো টাকা হাতানোর অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত সাকিবের বিরুদ্ধে। তারপর কেটে গেছে প্রায় দু’বছর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গাড়ি হাতে পাননি মমতাজ। মমতাজের অভিযোগ, তিনি গাড়ির প্রসঙ্গ তুলতেই তা এড়িয়ে যেতে শুরু করেন অভিযুক্ত সাকিব। দিনের পর দিন তাঁকে আশা জাগিয়েওলাভের লাভ কিছুই হয়নি। এরপরই মমতাজ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারনার শিকার হয়েছেন। চলতি বছর এপ্রিল মাসে চন্দননগর আদালত (Chandannagar Court) ও ভদ্রেশ্বর থানায় মহম্মদ সাকিব, মহম্মদ সাইফ ও সাবির আলির নামে অভিযোগ দায়ের করেন মমতাজ আনসারী। এরপরই মঙ্গলবার কলকাতা থেকে সাইফকে গ্রেপ্তার করে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। বুধবার চন্দননগর আদালতে ধৃতকে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের (Police Custody) নির্দেশ দেয় আদালত। পরে মেয়াদ শেষ হলে শনিবার আবারও অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মমতাজের আইনজীবী দিগন্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, শুধু মমতাজের সঙ্গেই নয় চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর এলাকার অনেক মানুষের সঙ্গেই এরকম প্রতারণা করেছেন সাকিব সহ অভিযুক্তরা। গরিব মানুষকে সাবসিডিতে গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তিন জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বেসরকারি কোম্পানি খুলে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল চালাত অভিযুক্তরা। তবে ছোট ছেলে সাইফ গ্রেফতার হলেও বাকি দুই অভিযুক্ত বড় ছেলে মহম্মদ সাকিব ও বাবা সাবির আলির খোঁজে তল্লাশি (Search Operation) চালাচ্ছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ।

 

 

Previous articleডুরান্ড কাপে মুখোমুখি মোহন-ইস্ট, ডানকুনিতে দেখা গেল ‘রেষারেষির’ ছবি
Next articleএকপলকেই ধূলোয় মিশল গগনচুম্বী অট্টালিকা