বেফাঁস মন্তব্যের জেরে শ্রীকান্তকে শোকজ তৃণমূলের, দুঃখপ্রকাশ প্রতিমন্ত্রীর

দলীয় বিধায়কের ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করেছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি

বেফাঁস মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাত (Shrikanta Mahato)। এর জেরে তাঁকে শোকজ (Show Cause) করে তৃণমূল (TMC)। অবশেষে দুঃখপ্রকাশ করে বিষয়টি মিটমাট করতে চেয়েছেন তিনি।

কী বলেছিলেন শ্রীকান্ত? ভাইরাল হওয়া আড়াই মিনিটের ভিডিওতে তাঁকে বলতে দেখা গিয়েছে, “এখানে যদি দেবাদিদেব মহাদেব, উমা সরেন, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরত, নেপাল সিং, সন্দীপ সিং, উত্তরা সিং যারা লুটে পুটে খাচ্ছে তারা যদি সম্পদ হয়, তা হলে তো দল করা যাবে না। তারা যদি দলের সম্পদ হয়, তারা যদি টাকা ডাকাতি করে শালবনির টাকায়, টাঁকশালে টাকা ছাপায়, তা হলে মন্ত্রী জেলে গেলে ভাল আছে। না হলে লোকে দোষারোপ করে বলবে ওই মন্ত্রীরা সকলে চোর। বলছে তো।’’

শ্রীকান্তর মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘‘যে কোনও ক্ষেত্রেই এমন দায়িত্ববণ্টনের ঘটনা ঘটলে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে, আবার বিচ্ছিন্ন ভাবে কারও আলাদা বক্তব্যও থাকতে পারে। নেতৃত্ব সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। দল কোনও সিদ্ধান্ত জানালে তা দলের অনুশাসন এবং শৃঙ্খলার কারণে মেনে নেওয়াটাও রীতি। এটা স্বাভাবিক রীতি। এমন মন্তব্যে ভুল বোঝাবুঝি বাড়তে পারে। দল এই মন্তব্য অনুমোদন করে না।’’

দলীয় বিধায়কের ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করেছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। তিনি বলেন, ‘‘উনি কিছু কথা বলেছেন, যার ভিডিও দলের কাছে পৌঁছেছে। সেই মন্তব্য একটু আপত্তিজনক। সেই জন্য দলের নির্দেশে শ্রীকান্ত মাহাতকে শোকজ করা হয়েছে। আজ উনি উনি দুঃখপ্রকাশ করে জবাব দিয়েছেন।’’

 

Previous articleশীতকালেই পোষ্যের হাট দক্ষিণ কলকাতায়: মন্ত্রী অরূপের প্রস্তাবে রাজি ব্যবসায়ী সমিতি
Next articleরোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্বিগ্ন, হবে বিশেষ অভিযান