স্বামীর খু*নে মূল অভিযুক্ত জামিন পেতেই আত্মহত্যার চেষ্টা প্রয়াত কাউন্সিলর অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষীর

গত ১৩ মার্চ বাড়ির কিছুটা দূরে, আগরপাড়া স্টেশন রোডে দুষ্কৃতী অমিত পণ্ডিত একেবারে সামনে থেকে অনুপমকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরের

বাড়ির অদূরে এক দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন করা হয়েছিলেন পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রিয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তক। পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল শ্যুটার
অমিত পণ্ডিত। স্থানীয়দের চেষ্টায় ঘটনার রাতেই গ্রেফতার হয়েছিল খুনি অমিতকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অমিতের আত্মীয় প্রসেনজিত পণ্ডিত ওরফে বাপি পণ্ডিত সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। সোমবার অনুপম দত্ত খুনে অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পডে়। জামিনের খবর চাউর হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। বি টি রোড অবরোধ করে রাতভর চলে প্রতিবাদ। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে, তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে তৃণমূলের পতাকাও ছিল। দাবি ওঠে, বাপিকে মুক্তি দেওয়া চলবে না। বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, মামলা সাজানোয় পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলেই এমনটা ঘটেছে।

স্বামীর খুনে মূল অভিযুক্তের জামিনের খবর কানে আসে প্রয়াত অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষীর। এমন ঘটনা মেনে নিতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঢুকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী৷ যদিও সময় মতো তাঁদের উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, অনুপমের মৃত্যুর পর পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জিতে মীনাক্ষী এখন তৃণমূল কাউন্সিলর।

গত ১৩ মার্চ বাড়ির কিছুটা দূরে, আগরপাড়া স্টেশন রোডে দুষ্কৃতী অমিত পণ্ডিত একেবারে সামনে থেকে অনুপমকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরের। রাতেই এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় ওই দুষ্কৃতী। তদন্তে নেমে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, খুনের অমিতকে সুপারি দিয়েছিল বাপি। এমনকি, আগেই অন্য এক দুষ্কৃতীকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে কাজটি না করায় পুর ভোটের পরেই অমিতকে কাজে লাগায় বাপি। ঘটনার পর থেকেই অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী ও পরিজনেরা দাবি করেছিলেন, দোষীদের চরম শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পাওয়ার এলাকাবাসীর ক্ষোভ চরমে উঠেছে।

আরও পড়ুন:আজ অনুব্রতকে জেরা করবে CBI