শ্রীলঙ্কার প্রতিচ্ছবি বাগদাদে: সেনার গুলিতে মৃত কমপক্ষে ২৩, আহত ৩৮০

ভয়াবহ পরিস্থিতি ইরাকে (Iraq)। ফের কলম্বোর (Colombo) স্মৃতি উসকে দিল বাগদাদ (Bagdad)। হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ বাগদাদের রাজপথে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা রক্ষীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কমপক্ষে ৩৮০ জন। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্টের প্যালেস বিক্ষুব্ধ জনতার দখলে।

ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া মুসলিম নেতা মুক্তাদা (Muktada) আচমকা রাজনীতি (Politics) থেকে অবসর ঘোষণার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সোমবার তিনি ঘোষণা করেন, রাজনীতিতে তিনি আর থাকতে চান না। এরপরেই পথে নামে তাঁর সমর্থকেরা (Supporters)। বাগদাদে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী (Security Personnel) ও মুক্তাদার সমর্থকদের (Muqtada al Sadr) মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। বাগাদাদে হাজারো বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহর (Barham Salih) প্রাসাদে ঢুকে পড়ে। তারা সেখানে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটছে ও সেলফি তুলছে এমন ছবিও সামনে আসে। তবে কেউই পরিষ্কার করে বলতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট কোথায় রয়েছেন। মুখে কুলুপ এঁটেছেন সরকারি কর্তারাও।

তবে মুক্তাদার সমর্থক এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ সোমবার রাতেই বন্ধ হয়ে যায়। শান্ত হয় পরিস্থিতি। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল হতেই ফের একই অবস্থা। গোটা বাগদাদ শহর জুড়ে এখন গুলি এবং রকেট নিক্ষেপের শব্দ। এমনকি, উচ্চ-সুরক্ষিত গ্রিন জোন, যেখানে বিভিন্ন সরকারি ভবন এবং দূতাবাসগুলি (Embassy) অবস্থিত, সেখানকার পরিস্থিতিও অত্যন্ত খারাপ। ইরাকের সামরিক বাহিনী দেশ জুড়ে কারফিউ (Curfew) ঘোষণা করলেও লাভ কিছুই হয়নি। তীব্র হিংসাত্মক বিক্ষোভের মধ্যে মন্ত্রিসভার অধিবেশনও স্থগিত করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কধিমি (Mustafa Al-Kadhimi)। নামানো হয় দাঙ্গা দমনকারী পুলিশ। তারা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।

আরও পড়ুন- আসানসোল জেলে অনুব্রত-সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ, CBI-এর সামনে মুখে কুলুপ দু’জনেরই