বাকস্বাধীনতা নিয়ে মোদি সরকারকে কটাক্ষ শ্রীকৃষ্ণার, পাল্টা আক্রমণ রিজিজুর

“বর্তমানে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমি যদি আজ সবার সামনে দাঁড়িয়ে বলি প্রধানমন্ত্রীকে আমার ভাল লাগে না, পরদিনই আমার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে। কোনও কারণ ছাড়াই হয়তো জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে আমাকে। দেশের নাগরিক হিসাবে এই পরিস্থিতি নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। সবাই মিলে এর বিরোধিতা করা উচিত”।

দেশে বাকস্বাধীনতার না থাকা নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে এবার কাঠগড়ায় তুলেছেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি বিএন শ্রীকৃষ্ণা (B N Krishna)। এক সাক্ষাৎকারে দেশের পরিস্থিতি ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। সেই মন্তব্যের পাল্টা তাঁকে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাঁর কথায়, “এই ধরনের মানুষ সবসময় স্বাধীন ভাবেই নিজেদের মত প্রকাশ করেন। জনতার দ্বারা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর নিন্দাও করেন। অথচ এখন তাঁরা বাকস্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন!”

সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঠিক কী বলেছিলেন বিএন শ্রীকৃষ্ণা?
তিনি বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমি যদি আজ সবার সামনে দাঁড়িয়ে বলি প্রধানমন্ত্রীকে আমার ভাল লাগে না, পরদিনই আমার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে। কোনও কারণ ছাড়াই হয়তো জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে আমাকে। দেশের নাগরিক হিসাবে এই পরিস্থিতি নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। সবাই মিলে এর বিরোধিতা করা উচিত”।

পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) আমলের জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে আনেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিরেণ রিজিজিু বলেন, এই ধরনের ব্যক্তিত্বরা কংগ্রেসের তৈরি করা জরুরি অবস্থা সম্পর্কে একটা কথাও বলেন না। কিছু আঞ্চলিক দলের মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও তাঁদের ভয় করে।”

সরকারি কর্মচারিরার নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন কি না তা নিয়ে একটি বিতর্কের আওতায় এই বক্তব্য রাখেন ওই প্রাক্তন বিচারপতি। সেখানে তিনি বলেন, “যদি ভদ্রভাবে কেউ সরকারের সমালোচনা করে, তাহলে তার চাকরি নিয়ে কোনও জটিলতা তৈরি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের সরকার যেভাবে সমালোচনার জবাব দেয় ,সেটা সত্যিই খুব চিন্তার বিষয়।” সাক্ষাৎকারটির ওই অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে (Twitter) রিজিজু অবশ্য লেখেন, “সুপ্রিম কোর্টের কোনও প্রাক্তন বিচারপতি সত্যিই একথা বলেছেন কি না তা জানি না। এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে সারাজীবন যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, তাকেই ছোট করছেন।”

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অসহিষ্ণুতা, বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করার অভিযোগ বহুদিনের। বিরোধী দলগুলি এই অভিযোগ বারবার করে আসছে। এবার সেই সেই কথার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তাতেই চটেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।।

 

Previous articleসুপারস্টার সিঙ্গারে চ্যাম্পিয়ন বঙ্গ তনয়া অরুণিতার দলের মহম্মদ ফইজ, দ্বিতীয় হিমাচলের মণি
Next articleমালদায় মাছ ব্যবসায়ী বাড়িতে এখনও পর্যন্ত ১.৩ কোটি টাকা উদ্ধার