সাইরাস মিস্ত্রির শেষকৃত্য মঙ্গলবার সম্পন্ন হল মুম্বইয়ে ৷ শহরের ওরলিতে তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন ঘনিষ্ঠ বৃত্তের পার্সি সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ পাশাপাশি হাজির ছিলেন প্রখ্যাত শিল্পপতি রতন টাটার সৎ মা সিমোন টাটাও। হুইলচেয়ারে আসীন ৯২ বছর বয়সি সিমোন ওরলিতে সাইরাসের অন্ত্যেষ্টিতে এসেছিলেন বিশেষ ভ্যানে ৷ প্রসঙ্গত, সিমোনের ছেলে অর্থাৎ রতন টাটার বৈমাত্রেয় ভাই নোয়েল টাটার স্ত্রী হলেন প্রয়াত সাইরাসের বোন আলু মিস্ত্রি ৷ টিসিএস-এর প্রাক্তন প্রধান এস রামাদোরাই-ও এসেছিলেন সাইরাসের অন্ত্যেষ্টিতে ৷
আরও পড়ুন:জলের তলায় কর্ণাটক! জরুরি বৈঠকে বসে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই ঘুমোচ্ছেন মন্ত্রী !

প্রয়াত শিল্পপতির শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন সাইরাসের দাদা শাপুর মিস্ত্রি, শ্বশুর তথা সিনিয়র আইনজীবী ইকবাল চাগলা, শিল্পপতি অনিল অম্বানি, অজিত গুলাবচন্দ, দীপক পারেখ, বিশাল কাম্পানি, অন্ত্রপ্রনর রনি স্ক্রুওয়ালা, স্থপতি হাফিজ কন্ট্রাক্টর, এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে ও প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ মিলিন্দ দেওরা ৷
মঙ্গলবার সকালে জেজে হাসপাতাল থেকে সাদা ফুলে ঢাকা সাইরাসের মরদেহ আনা হয় অন্ত্যেষ্টিস্থলে ৷ কিছুক্ষণ তাঁর দেহ শায়িত ছিল প্রিয়জনদের জন্য ৷ তাঁরা বিদায় জানানোর পাশাপাশি পারিবারিক পুরোহিত পার্সি রীতিনীতি মেনে প্রার্থনা করেন ৷ নির্ধারিত সময় মেনে দুপুরের আগেই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য ৷
প্রসঙ্গত, রবিবার পথ দুর্ঘটনায় ৫৪ বছর বয়সি সাইরাস মিস্ত্রি গুজরাতের উড়ওয়াড়া থেকে মুম্বই ফেরার পথে মহারাষ্ট্রের পালঘরে প্রয়াত হন। তাঁরা যে মার্সিডিজে ছিলেন, দুর্ঘটনার অভিঘাতে তা তুবড়ে যায় ৷ সাইরাসের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের পারিবারিক বন্ধু জাহাঙ্গির ও দারায়ুস পন্ডোলে এবং দারায়ুসের স্ত্রী তথা নামী স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অনহিতা পন্ডোলে ৷ গাড়ি চালাচ্ছিলেন ৫৫ বছর বয়সি অনহিতা ৷ মার্সিডিজের সামনের আসনে তাঁর পাশে ছিলেন স্বামী দারায়ুস ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনেরই চিকিৎসা চলছে ৷ গাড়ির পিছনের আসনে থাকা সাইরাস এবং জাহাঙ্গির প্রয়াত হয়েছেন দুর্ঘটনায় ৷
