বাগুইআটির দশম শ্রেণির দুই ছাত্রের নৃশংস হত্যাকাণ্ড কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য। থানার গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশির তরফে। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই জোড়া খুনের রহস্যের কিনারায় মুখ্যমন্ত্রী CID তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এরপরই বাগুইআটি জোড়া খুনের তদন্তভার হাতে নিয়ে নেমে কোমরবেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে CID হোমিসাইড শাখা। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসাররা দ্রুত তদন্তের নিষ্পত্তি চাইছেন। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে এক যুবককে আটক করল CID. ধৃত যুবকের নাম রবিউল মোল্লা। সে ভাঙড়ের পোলেরহাটের বাসিন্দা বলো জানা গিয়েছে। ভাঙড় থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে CID. ওই ঘটনায় এর আগে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের জেরা করেই রবিউলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

তবে জোড়াখুন কাণ্ডের মাস্টার-মাইন্ড সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও অধরা। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে CID হোমিসাইড শাখা এবং বাগুইআটি থানায় পুলিশ। তার গতিবিধি কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। সম্ভবত সে বিহারে গা ঢাকা দিয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। তাই সত্যেন্দ্র চৌধুরীর খোঁজ পেতে বিহারের মতিহারি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে CID.
অন্যদিকে, দুই কিশোর অতনু-অভিষেককে যে গাড়িতে তুলে খুন করা হয় সেই গাড়িটিরও আজ ফরেন্সিক হবে। জানা গিয়েছে, বসিরহাট থানার ন্যাজাটে পৌঁছে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে ফরেন্সিকের টিম।
