আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। সুপার ফ্লপ কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে বঙ্গে বিজেপির নতুন পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। রাজ্য নেতাদের প্রতিটি পদক্ষেপের উপরে কড়া নজর রাখছেন তিনি। গত সপ্তাহে বৈদিক ভিলেজে চিন্তন শিবিরে কেন্দ্রীয় নেতারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, কোনওরকম গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত করা হবে না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এরপরই লোকদেখানো হলেও কিছুদিনের জন্য বঙ্গ বিজেপির টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একে অপরের হাতধরে, কোলাকুলি করে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

তারই মাঝে ফের নিজের পুরনো মেজাজে ধরা দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলীয় কর্মসূচিতে বীরভূম সফরে গিয়ে ফের তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন দিলীপ। এই মুহূর্তে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচার মামলায় জেলবন্দি। সেই প্রসঙ্গ তুলে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দিলীপ ঘোষের হুঙ্কার, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। অনুব্রত মণ্ডলের উন্নয়ন বাহিনী বোমাগুলি নিয়ে আমাদের মনোনয়নে বাধা দিয়েছিল। এবার অনুব্রত জেলে। দেখব কার কত কব্জির জোর।”

একইসঙ্গে ফের একবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “সিবিআই শুধু ডাকাডাকি করছে। ধরছে। কিন্তু সাজা হচ্ছে কোথায়? শুধু ধরলে হবে না, সাজা দিতে হবে। না হলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবে কী করে? আর শুধু মন্ত্রী-বিধায়কদের নয়, সেই সময় যারা জেলাশাসক কিংবা পুলিশ সুপাররা ছিলেন তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত সিবিআইয়ের।”

বীরভূম সফরে দিলীপ ঘোষের পাশে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একটি কর্মসূচিতে দিলীপের পাশে হেঁটেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।

আরও পড়ুন:কেন্দ্রের অনুমোদনেই বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি ডাবল ইঞ্জিন গুজরাতে, আইনজীবীর চাঞ্চল্যকর দাবি
