Sunday, November 9, 2025

ভারতের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে তৎপর বাংলাদেশ 

Date:

Share post:

খায়রুল আলম,  ঢাকা

প্রতিবেশী  ভারতের সাত রাজ্যে নজর বাংলাদেশের। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সীমান্তসংলগ্ন এইসব রাজ্যের সঙ্গে যোগসূত্র ও বাণিজ্য বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে ঢাকা। এর অংশ হিসেবে সদ্যসমাপ্ত দিল্লি সফরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়নমন্ত্রী (ডোনার) জি কিষেন রেড্ডির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর ওই বৈঠকে প্রতিবেশী সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি ছাড়াও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে তাদের তিনদিনের জন্য ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বৃহত্তর সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও কুড়িগ্রাম অঞ্চল লাগোয়া এই সাত রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তম হচ্ছে আসাম। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে আগেই ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাংলাদেশ।

ভারত সফরকালেই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দিল্লির বাংলাদেশ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি উল্লেখ করেন।  তিনি বলেন, শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স ফর টেরোরিজম নীতির ফলেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে আজ শান্তি ও উন্নয়নের জোয়ার বইছে। দিনকে দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যবসা ও বিনিয়োগ। নতুন নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে উঠছে। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ও বাংলাদেশ নট এ হাব অব টেরোরিস্ট ঘোষণার পর থেকেই।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গিয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে যোগাযোগের স্বল্পতা।দিল্লিতে  ৭ সেপ্টেম্বরের ওই বৈঠকে সেই বাধাগুলো দূর করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে কিষেন রেড্ডিকে বলেন, ‘আঞ্চলিক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা যত বেশি সফর করবেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা তত দ্রুত বাড়বে।’দিল্লির ওই আলোচনায় কিষেন রেড্ডি সীমান্ত হাট চালুর প্রস্তাব করেন।

ভারতের পাঁচ সীমান্তবর্তী রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে দুই দেশের মোট ৭০টি স্থান সীমান্ত হাটের জন্য চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫, মেঘালয়ে ২২, ত্রিপুরায় ৫ এবং আসাম ও মিজোরামে ৪টি করে।
কিষেন রেড্ডি জানান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল চা চাষে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ এখান থেকে চা আমদানিতে আগ্রহী হলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক টাই বাড়বে। দুই দেশই তাতে উপকৃত হবে। চা ছাড়া বেশকিছু খনিজ পদার্থ, সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য, বাঁশ, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, পর্যটন ও পরিষেবার ক্ষেত্র রয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত মুখ্যমন্ত্রী ঢাকা সফর করলে তা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচনে সাহায্য করবে। পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্কও দৃঢ় হবে।

spot_img

Related articles

কাশ্মীরে সরকারি হাসপাতালে জঙ্গি যোগ! চিকিৎসকের লকার থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র

মুখে যতই বড় বড় কথা বলুন না কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূস্বর্গে যে জঙ্গিদের কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে তার আরও এক...

টানা দুদিন তাপমাত্রা কুড়ির নীচে, রবির সকালে দক্ষিণবঙ্গে ভরপুর শীতের আমেজ 

উইকেন্ডে পারদ পতন অব্যাহত, আগামী সপ্তাহের মাঝে মাঝে পর্যন্ত শীতের আমেজ (Winter in Weekend) পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবে...

KIFF: রবিবাসরীয় ফিল্মোৎসবে হলিউড ক্লাসিক ‘ব্লু ভেলভেট’ দেখার সুযোগ, দুপুরে ফেলুদার নস্টালজিয়া!

দেখতে দেখতে তিন দিন পার, উদ্বোধনের দিনটাকে হিসেবের মধ্যে ধরলে আজ ৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (31st...

বেঁচে থাকলে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত! পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ দেবাংশুর

ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বেঁচে নেই। নইলে বিজেপি রবীন্দ্রনাথকে রোহিঙ্গা ও নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত। শনিবার পুরুলিয়া শহরের...