মহিলা পুলিশ বেষ্টনীতে খেল-খতম শুভেন্দুর, কুণাল বললেন “ওটা একটা আলুভাতে”

শুভেন্দুর নেতৃত্বে গেরুয়া বাহিনীর গণ্ডগোলের পরিকল্পনা খুব সাফল্যের সঙ্গে ব্যর্থ করে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। গুটিকয়েক মহিলা পুলিশ বেষ্টনীতেই খেলখতম বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর

ট্রেলারেই শেষ সিনেমা। বিজেপি নবান্ন অভিযান হাস্যকর। ফ্লপ। শুভেন্দুর নেতৃত্বে গেরুয়া বাহিনীর গণ্ডগোলের পরিকল্পনা খুব সাফল্যের সঙ্গে ব্যর্থ করে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। গুটিকয়েক মহিলা পুলিশ বেষ্টনীতেই খেলখতম বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। আটক হওয়ার জন্য গুটি গুটি পায়ে হেঁটে নিজেই উঠে পড়লেন পুলিশের গাড়িতে। আর এই ঘটনার পরই শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল বললেন “আলুভাতে”!

কুণাল বলেন, “বিজেপির কোনও জনভিত্তি নেই। আর শুভেন্দুর কথা যত কম বলা যায়, ততই ভালো। যতগুলো ক্যামেরা ছিল, তত মিনিট পুলিশের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। একটা আলুভাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ওর শেখা উচিত, বিরোধী আন্দোলন কাকে বলে। মমতাদি যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, মারতে মারতে রয়টার্স থেকে বের করেছিল সিপিএমের পুলিশ। সিঙ্গুর বিডিও অফিস থেকে চুলের মুঠি ধরে বের করছিল।”

বিরোধী দননেতাকে খোঁচা মেরে কুণাল বলেন, “মহিলা পুলিশকে বলছে, ডোন্ট টাচ মাই বডি। যেন লজ্জাবতী লতা। বিরোধী দলনেতা নয়, শুভেন্দু একজন অপদার্থ। অন্যদিকে, যাত্রাপালার নায়ক রাহুল সিনহা। আর লকেট চট্টোপাধ্যায় তো মনেপ্রাণে চাইছিলেন ফ্লপ হোক নবান্ন অভিযান। কোনও ইস্যু নেই। উন্নয়ন নিয়ে কথা নেই। শুভেন্দু একটা বাতেলাবাজ। নার্ভ কাজ করলো না। হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল পুলিশের গাড়িতে। পুলিশও তুলে নিয়ে যায় নি। এর ভরসায় বিজেপি কর্মীরা লড়ছেন? ভীতু, কাপুরুষ, মেরুদন্ডহীন। ছোটবেলায় বাবার দয়ায়, তারপর দিদির দয়ায় ঠান্ডা ঘরে বসে নেতা হয়েছে। ভীতু, কাপুরুষ। গরুর গাড়ির হেডলাইট। শুভেন্দুর বিনাবাধায় আত্মসমর্পণ করেছে। বুকে নেই দম, শুভেন্দু খাবে চম চম। ওর পিছনে ৩০টি লোক ছিল না। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন বসে পড়বে। শুভেন্দু বসলো কোথায়? নিজেকে সেভ করে নিল কর্মীদের এগিয়ে দিয়ে।”

এরপরই কুণাল বলেন, “বিজেপি বিপুল টাকা লাগিয়ে ছিল নবান্ন অভিযানে। এগুলি সিবিআই-ইডি তদন্ত করে না। ১১কোটির আন্দোলনে ১১মিনিট টিকলো না। আসল পরীক্ষায় দেখা গেল দম নেই। সিনেমা তো ট্রেলারেই শেষ!
ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে এমন সুপার ফ্লপ অভিযান বিরোধী দলের হয়নি, যেখানে আলুভাতে বিরোধী দলনেতা হাঁটতে হাঁটতে বিনা বাধায় পুলিশের গাড়িতে উঠে গিয়েছে। শুভেন্দু বুঝে গেছে লোক নেই। তাই হাল ছেড়ে দিয়েছে।”

Previous articleভারতের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে তৎপর বাংলাদেশ 
Next articleপরীক্ষা বন্ধ করতে নয়া কৌশল! বোমা মেরে স্কুল ওড়ানোর হুমকি পড়ুয়ার