আজ বিজেপির নবান্ন অভিযানে ভিনরাজ্যের সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল, হিংসা রুখতে সতর্ক প্রশাসন

বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় তল্লাশি, নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। ঝাড়খণ্ড সীমানা পেরিয়ে আসা গাড়িগুলির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে আজ বড়সড় অশান্তি পাকানোর ছক কষেছে বিজেপি। রাজনৈতিক আন্দোলনকে সামনে রেখে নবান্ন অভিযানের নামে বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতী এনে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে বঙ্গের গেরুয়া শিবির। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলকে করিডর করে নবান্নের দিকে আসবে ভিনরাজ্যের এই পেশাদার দুষ্কৃতীরা। বহু মানুষের জমায়েতে সহজেই উত্তেজনা বা অশান্তি ছড়িয়ে দেওয়া যাবে।

এমন চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে আসার পরই গতকাল রাত থেকে গোয়েন্দাদের নজরদারি বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ।
বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় তল্লাশি, নাকা চেকিং শুরু হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড সীমানা পেরিয়ে আসা গাড়িগুলির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। সম্প্রতি, বহিরাগতরা কোন কোন হোটেলে এসে উঠছে, সেই তথ্যও জোগাড় করছে পুলিশ।

এদিকে, নবান্ন অভিযান ঘিরে আজ মঙ্গলবার চরম ভোগান্তিতে পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষ। লালবাজারের তরফে সোমবার লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আজ দিনের একটা বড় সময়ে বন্ধ থাকবে হাওড়া ব্রিজ ও দ্বিতীয় হুগলি সেতু। সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত কলকাতা-হাওড়া সংযোগকারী এই দুই সেতু এড়িয়ে চলার। নবান্ন অভিযান রুখতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ বেলা ১২টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

যদিও প্রশাসনের নজরে বিজেপির নবান্ন অভিযান কার্যত বেআইনি। কারণ, কলকাতা ও হাওড়া পুলিসের তরফে তার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিস প্রশাসনের তরফে লিখিতভাবে রাজ্য বিজেপিকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নবান্ন অভিযান ঠেকাতে ২০০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করেছে লালবাজার। মূল দায়িত্বে থাকবেন বিশেষ কমিশনার দময়ন্তী সেন। দু’জন অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারও দায়িত্বে থাকবেন। লালবাজার সূত্রে খবর, হাওড়া ব্রিজ ছাড়াও শহরের মোট পাঁচটি পয়েন্টে বিজেপির মিছিল আটকানো হবে। সেই সমস্ত পয়েন্টে থাকবেন ১৮ জন ডেপুটি কমিশনার, ৩২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ৬২ জন ইনসপেক্টর, ১২৪ জন সার্জেন্ট পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন হাওড়া ব্রিজ সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে।

আরও পড়ুন:বাণিজ্য সংস্থাকে সহযোগিতা করুন: হাইকোর্ট