“ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেল”! শুভেন্দুর পুরুষ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টাকে খোঁচা কুণালের

সোশ্যাল মিডিয়া ভরে যায় শুভেন্দুর মিমে। নবান্ন অভিযানকে ছাপিয়ে দিনভর ট্রোলের শিকার বিরোধী দলনেতা। মজায় মাতেন নেটিজেনরা

ঢাকঢোল পিটিয়ে ১১কোটির নবান্ন অভিযান ১১মিনিটেই শেষ করে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযান শুরুর ঘোষিত নির্ধারিত সময়ের ঘন্টা দেড়েক আগে পুলিশের কাছে নিজেকে তুলে দেন শুভেন্দু। পিটিএস মোড়ে গুটিকয়েক মহিলা পুলিশ কর্মী তাঁকে ঘিরে নিলেই শুভেন্দু নিজেকে একজন চরিত্রবান পুরুষ প্রমানে মরিয়া হয়ে ওঠেন। মহিলা পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে বারবার বলতে থাকেন, “ডোন্ট টাচ মাই বডি। আই অ্যাম মেল, ইউ আর ফিমেল।” এরপর গুটি গুটি পায়ে পুলিশের গাড়িতে উঠে পড়েন। ব্যস, এটুকুই ছিল শুভেন্দুর নবান্ন অভিযান। ট্রেলরেই শেষ সিনেমা। এরপর শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে একের পর এক কটাক্ষ শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে যায় শুভেন্দুর মিমে। নবান্ন অভিযানকে ছাপিয়ে দিনভর ট্রোলের শিকার বিরোধী দলনেতা। মজায় মাতেন নেটিজেনরা।

খুব স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুর এমন মন্তব্যকে মজা করেছেন তৃণমূল নেতারাও। তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ শুভেন্দুকে “আলুভাতে” বলে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। পরে আবার নতুন করে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, “এ যেন সপ্তপদী রিভিজিটেড। আজ শুভেন্দুকে মুখে বলে প্রমাণ করতে হল তিনি পুরুষ। সেদিন রিনা ব্রাউন বলেছিলেন, আমায় টাচ করবে না। আর আজ বিরোধী দলনেতা বললেন, ডোন্ট টাচ মাই বডি। আই অ্যাম মেল ইউ আর ফিমেল।”

কুণালের কটাক্ষ,”রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দিকে যতগুলি ক্যামেরা তাক করা ছিল, তত মিনিটও পুলিশের সামনে দাঁড়াতে পারল না। পুলিশের সামনে দাড়িয়ে থাকার নার্ভ ওর নেই। এত বড় বিনোদন। দেখে হাসি পাচ্ছিল। আমরা ভাবছিলাম ওটা ট্রেলার। নিচে লেখা দেখলাম ওটাই দি এন্ড”!

এরপর বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে গুণ্ডামি নিয়ে সুর চড়ান কুণাল। তিনি বলেন, “বাংলায় বিজেপির এই নেতৃত্ব অযোগ্য, অপদার্থ। কর্মীদের গুন্ডামি করার জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। নেতারা কোথায়? কর্মীদের সামনে এগিয়ে দিয়ে নিজেরা পালিয়ে গেছেন। পুজোয় জুতোর দোকানে থেকে বেশি ভিড় হয়।” একই সঙ্গে প্ররোচনায় পা না দিয়ে পুলিশ-প্রশাসন যেভাবে ঠাণ্ডা মাথায় পুরো বিষয়টি সামলেছে এদিন সেই ভূমিকারও ভুয়সী প্রশংসা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, “এটা কোনও আন্দোলন ছিল না, এটা ছিল গুন্ডামি। বিজেপির কিছু ভিড় যতক্ষণ না পাথর ছুঁড়েছে ততক্ষণ কিছু করেনি পুলিশ। এই পুলিশ তো ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ নয়। যদি পাথর আসে, বোমা আসে তবে পুলিশ কী করবে?”

Previous articleটি-২০ বিশ্বকাপে নতুন জার্সিতে রোহিতরা, বিসিসিআইয়ের নতুন ভিডিওতে তারই ঝলক
Next articleমহিলাদের উপর পুরুষ কনস্টেবলদের ‘অত্যাচার’ ! জাতীয় মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি বিজেপির