মুখে মা দুর্গা বলেও মহিলাদের ঘৃণা করেন, পুরুষরাই পছন্দ ওনার”, শুভেন্দুকে খোঁচা অভিষেকের

শুভেন্দু অধিকারীকে যখন আটকে দেওয়া হয়, সেই সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক মহিলা পুলিশকর্মী শুভেন্দুর কাছে এলে কার্যত রে রে করে ওঠেন বিরোধী দলনেতা

“উনি বলছেন, ডোন্ট টাচ মাই বডি। আই অ্যাম মেলস। ইউ আর লেডি। এর মানে কী? আমি তো বুঝতেই পারছি না। উনি বলছেন মহিলাদের মা দুর্গা হিসেবে দেখেন। তাহলে মা দুর্গা যদি আপনার পিঠে বা কাঁধে হাত দিয়ে পুলিশ ভ্যানে উঠতে বলেন, তাতে রেগে যাওযার কী হল। আমি তো ওনার এমন আচরণের কারণ কিছুই বুঝতে পারছি না। ওনার গায়ে এত জ্বালা কেন? মেল পুলিশ টাচ করবেন, ফিমেল পুলিশ টাচ করবেন না! তার মানে কী?” ঠিক এভাবেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর প্রাক্তন এক নিরাপত্তারক্ষীর রহস্য মৃত্যুর প্রসঙ্গও টেনে আনলেন অভিষেক। মঙ্গলবার, নবান্ন অভিযানে ইস্যু থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু নিজেকে “পুরুষ” প্রমাণ করার এক মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর এই সংলাপ নিয়ে গতকাল দিনভর নানা ধরণের মজার মিম সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যা প্রবল হাসির খোরাক এখন নেটিজেনদের কাছে। আর এদিন আহত পুলিশ আধিকারিক দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে দেখতে এসে শুভেন্দুকে নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আসলে কী ইঙ্গিত দিলেন, সেটা মোটামুটি সকলের কাছেই পরিস্কার।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের একেবারে শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহাদের পিটিএস মোড়ে আটকে দেয় পুলিশ। শুভেন্দু অধিকারীকে যখন আটকে দেওয়া হয়, সেই সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক মহিলা পুলিশকর্মী শুভেন্দুর কাছে এলে কার্যত রে রে করে ওঠেন বিরোধী দলনেতা। “ডোন্ট টাচ মাই বডি, )আই অ্যাম মেলস। ইউ আর লেডি…” বলে মহিলাকে ওই পুলিশ কর্মীকে সতর্ক করেন শুভেন্দু। যা হাস্যকর পর্যায়ে চলে যায়।

এদিকে শুভেন্দুর এমন মন্তব্য নিয়ে যখন জোর চর্চাশুরু হয়, সেই সময় লালবাজার থেকে ফেসবুক লাইভ করেন তিনি। যেখানে মহিলাদের তিনি দুর্গা হিসেবে দেখেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর সেই মন্তব্যের পর এদিন পাল্টা কটাক্ষ করেন অভিষেক। তাঁর প্রশ্ন, মহিলাদের প্রতি শুভেন্দুর সত্যিই যদি মনোভাব থাকে, তাহলে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সম্ভাষণ করতে গিয়ে অপমানজনক শব্দ প্রয়োগ কেন করেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি কেন ‘ফুফু’, ‘খালা’ , ‘বুড়ি’ বলে সম্মোধন করেন? অভিষেকের কথায়, “সারদা, নারদায় যদি সুদীপ্ত সেনের পরিবর্তে সুদীপ্তা সেন থাকতেন কিংবা ম্যাথু স্যামুয়েলসের পরিবর্তে অ্যাঞ্জেলিনা স্যামুয়েলস থাকতেন, তাহলে হয়ত শুভেন্দু হাত পেতে ঘুষ নিতেন না। কারণ, তাঁরা মহিলা বলে তিনি টাকা নিতেন না। আসলে উনি মহিলাদের ঘৃণা করেন আর পুরুষদের পছন্দ করেন। যা ভিডিওতে বাইরে এসেছে তাতে দেখলাম, শুভেন্দু অধিকারী রাহুল সিনহার কাঁধে হাত দিয়ে বসে আছে।”

আরও পড়ুন- পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের সঙ্গে উজবেকিস্তানে সাক্ষাতের সম্ভাবনা মোদির