নিয়োগের দাবিতে বাম ছাত্র সংগঠনের পুরসভা অভিযান, ধর্মতলায় ধুন্ধুমার

এদিন বামদের মিছিলের কথা মাথায় রেখেই আগেভাগে প্রস্তুত ছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। মিছিল ধর্মতলায় আসতেই বাধা দেওয়া হয়। তারপরই পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা

বামেদের মিছিলকে (Left Protest Rally) কেন্দ্র করে ফের তুলকালাম নিউমার্কেট (New Market) চত্বর। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা পুরসভায় (Kolkata Municipal Corporation) শূন্যপদে নিয়োগ-সহ ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে বাম ছাত্র যুব সংগঠন। এদিন কলেজ স্ট্রিট থেকে কলকাতা পুরসভা পর্যন্ত মিছিল করে এসএফআই-ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যরা। পরে মিছিল নিউ মার্কেট থানার সামনে পৌঁছতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে পুলিশের ব্যারিকেড, গার্ড রেল সরিয়ে কলকাতা পুরসভার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু এদিন বামদের মিছিলের কথা মাথায় রেখেই আগেভাগে প্রস্তুত ছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। মিছিল ধর্মতলায় আসতেই বাধা দেওয়া হয়। তারপরই পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তারপরই ধর্মতলার ব্যস্ততম রাস্তায় বসে চলে বিক্ষোভ। চরম ভোগান্তি হয় পথচলতি মানুষের। যেদিন, খড়্গপুরে হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর হাতে নিযোগপত্র তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেদিন নিয়োগের দাবিতে অশান্তি সৃষ্টি করা নিতান্তই রাজনীতিতে ভেসে থাকার চেষ্টা বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

এদিন মিছিলটির নেতৃত্ব দেন ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কলতান দাশগুপ্ত, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রথম সারির নেতা-নেত্রীরা। ডিওয়াইএফআই নেত্রী (DYFI Leader) মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “আজ ট্রেলার দেখালাম। ২০ তারিখ পুলিশের সঙ্গে সামনাসামনি কথা হবে।“ মীনাক্ষীর অভিযোগ, পুরসভায় ২৯ হাজার শূন্য পদ রয়েছে। এই শূন্যপদগুলিতে তাৎক্ষনিক স্বচ্ছ নিয়োগ করার দাবি জানাচ্ছি আমরা। যত বেনিয়ম হয়েছে সকলের বিরুদ্ধে চার্জশিট (Chargesheet) জমা করতে হবে। যারা যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের প্রত্যেককে শাস্তি দিতে হবে।

গত মঙ্গলবারই বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় শহর কলকাতায়। তবে যতটা গর্জেছিল ঠিক ততটা বর্ষায়নি বিজেপি। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ কড়া হাতে গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। পরিস্থিতি নিজেদের হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বুঝে শেষ চেষ্টা করলেও বিজেপি লাভের লাভ কিছুই করতে পারেনি। পুলিশের গাড়িতে আগুন, ইট-বোমা ছুড়লেও পরিস্থিতি বাগে আনতে পারেনি বিজেপি। আর বিজেপির দেখানো পথেই বৃহস্পতিবার শহরের রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শনে নামে বাম ছাত্রসংগঠন এসএফআই। রাজ্য রাজনীতিতে ‘লাস্ট বয়’ তকমা পেলেও নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে এদিন কলকাতা পুরসভা অভিযানে নামে বামেরা। ভোটের সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে বামেরা ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও গলা উঁচিয়ে, পুলিশ পিটিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের মরিয়া প্রচেষ্টা চালাল ছাত্র যুবরা।

 

Previous articleবিচার প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে প্রধান বিচারপতির নয়া ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলল ডিভিশন বেঞ্চ
Next articleএএফসির রোডম্যাপ পিছিয়ে যাওয়া খবর নিয়ে এবার বার্তা এআইএফএফ-এর