‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ ইস্যুতে সরগরম রাজ্য বিধানসভা

অন্যদিকে বিধানসভায় এই অভিযানকে সামনে রেখে  শাসক দলকে আক্রমণ করতে নিয়োগ দুর্নীতি ও বেনিয়ম ইস্যুতে মুলতবি প্রস্তাব আনেন বিজেপি বিধায়করা। যদিও মুলতবি প্রস্তাব স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রহণ করেন নি

বিক্ষোভ পাল্টা বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা।মঙ্গলবার গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে দুর্নীতির প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কার্যত কলকাতায় এবং হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র।

অন্যদিকে বিধানসভায় এই অভিযানকে সামনে রেখে  শাসক দলকে আক্রমণ করতে নিয়োগ দুর্নীতি ও বেনিয়ম ইস্যুতে মুলতবি প্রস্তাব আনেন বিজেপি বিধায়করা। যদিও মুলতবি প্রস্তাব স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রহণ করেন নি। আর তারপরেই বিজেপি বিধায়করা নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অন্যদিকে তৃণমূলও চুপ করে থাকেনি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হন শুভেন্দু অধিকারী। মহিলা পুলিশ আধিকারিক বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করতে গেলে তিনি বলেন, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’। শুভেন্দু অধিকারীর এই উক্তি নিয়ে গত দুদিন ধরে ব্যাপক চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর সেই কথাই এবার উঠে এল বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদের পোস্টারে। একটা দুটো নয়, একাধিক পোস্টার এদিন হাতে তুলে নেন তৃণমূল বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে এখাধিক পোস্টার দেখা যায়, সাথে চলে স্লোগান।

দুই পক্ষের স্লোগানে বৃহস্পতিবার রীতিমতো হট্টগোল সৃষ্টি হয় বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে। ওয়াক আউট করে প্রথমে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা কক্ষের সামনের সিঁড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে বসে পড়েন। অন্যদিকে এরপর শাসকদলের বিধায়করাও অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বাইরে এসে বিধানসভা চত্বরে বিজেপির বিরুদ্ধে মিছিল করেন। কার্যত এরকম ঘটনা বিধানসভায় আগে কখনো দেখা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, নবান্ন অভিযানের ছায়া আজ তীব্রভাবে লক্ষ্য করা গেল বিধানসভায়।