নবান্ন অভিযান নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব পাঠ করেও, মুড নেই বলে ‘আলোচনা চাইল না’ বিজেপি !

দিন কয়েক আগে বিজেপির (BJP) সবচেয়ে বড় কর্মসূচি ছিল নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan) । অথচ এই নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল গেরুয়া শিবির

দিন কয়েক আগে বিজেপির (BJP) সবচেয়ে বড় কর্মসূচি ছিল নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan) । অথচ এই নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল গেরুয়া শিবির ৷ কিন্তু তা নিয়ে কার্যত কিছুটা নিষ্ক্রিয়তাই দেখা গেল বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে । বৃহস্পতিবার বিধানসভার শুরুতেই নবান্ন অভিযান নিয়ে বিজেপির আনা মুলতবি প্রস্তাব পাঠের সুযোগ দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Speaker Biman Banerjee) । সাধারণত মুলতবি প্রস্তাব এভাবে পাঠের সুযোগ দিলেও, তা নিয়ে আলোচনার দাবি জানান বিরোধীরা । দাবি না মানলে সেক্ষেত্রে ওয়াক আউটের ছবিও দেখা যায় হামেশাই ।
এ দিন অবশ্য সেই ছবি দেখা যায়নি। প্রস্তাব পাঠের পর, তা নিয়ে আলোচনার দাবি পর্যন্ত জানালেন না বিরোধী বিধায়করা । আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক । বিজেপির যে ইস্যুকে সর্বভারতীয় স্তরে তুলে এনে প্রচারের জন্য সরব হয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব । সেখানে কেন বিজেপি পরিষদীয় দলের এই নিয়ে আলোচনায় অনীহা ? বিতর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে যখন কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার জানিয়েছেন, এদিন বিধানসভার মুড আলোচনার পক্ষে ছিল না ।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, রাজনীতিটা মুড এর ব্যাপার না। হাস্যকর ব্যাপার। ওদের মুড হলে বিশৃঙ্খলা করবে, মুড হলে পুলিশকে মারবে। এটা মানুষের পরিস্থিতি যেটা ডিমান্ড করছে তার ওপর নির্ভর করে, এখনও সেটাই জানে না ওরা।
এদিন বিধানসভার অন্দরে যা দেখা গেল, তাতে কার্যত নমো নমো করে প্রস্তাব পড়েই দায় সারলেন বিজেপি পরিষদীয় দল। অথচ পড়ার সময়ে পুলিশি বলপ্রয়োগ, কর্মীদের উপর পুলিশের লাঠি, কাদানে গ্যাসের শেল, জল কমানোর প্রসঙ্গ এল। বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে কর্মসূচি শুরুর আগে যেভাবে আটকে দেওয়া হয়েছিল সেই প্রসঙ্গও ছিল প্রস্তাবে। শুভেন্দু অধিকারীর উপরে বলপ্রয়োগের মতো বিষয়ও উঠে এসেছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও আলোচনা চেয়ে টু শব্দও করলেন না বিজেপির বিধায়করা। আর নবান্ন অভিযান নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব যখন পড়ছেন বিধায়ক, সেই সময়ে কক্ষে হাজির মাত্র ১২ জন বিজেপি বিধায়ক। এমনকী যাঁরা প্রস্তাবে সাক্ষর করেছিলেন, তাঁদেরও অনেকের দেখা মিলল না।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা বা বিরোধী শিবিরের কারোরই সেভাবে বিধানসভা সম্পর্কে ধারণা নেই ৷ আর এই অজ্ঞানতা থেকেই এই ধরনের আচরণ করছেন তাঁরা ।’’
তিনি এও বলেন, ‘‘বিরোধী দল চাইলে এই বিষয়ে আলোচনা আদায় করে নিতে পারত অথবা আলোচনা না হলেও তাই নিয়ে প্রতিবাদ নথিভুক্ত করাতে পারতো । একরকম অভিজ্ঞতার অভাবেই সেই সুযোগ হারালো বিরোধী পক্ষ ।’’
এদিন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা কী বলেছেন আমি জানি না । আমরা আলাদা করে আলোচনার জন্য হইচই করিনি কারণ আমরা জানি অধ্যক্ষ আমাদের সেই সুযোগ দেবেন না ।’’