Paris: মেট্রোর কামরায় প্রথম দেখা, সম্পর্ক গড়াল বিয়ে পর্যন্ত

যখন এই ট্যুর শুরু করেছিলেন অ্যান্ডি তখনও ভেবেছিলেন তিন দিনের বেশি থাকবেন না প্যারিসে। কিন্তু এক পলকের একটু দেখা বদলে দিল সব কিছু। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই তরুণ তরুণীর প্রেমের কাহিনী।

প্রথম দর্শনে প্রেমে (Love at first sight) পড়ার ঘটনা শুধুই কি কাব্যে ঘটে? বাস্তবেও যে এক পলকের দেখায় প্রেম হয় আর তা গড়ায় বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত, তার প্রমাণ মিলল প্রেমের শহর প্যারিসে (Paris)। একেবারে রূপকথার গল্পের মতই প্রেমে পড়লেন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত দুই তরুণ-তরুণী।

এক পলকে একটু দেখা হয়েছিল মেট্রো তে (Metro)। ব্যাস সেখানেই লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট ! তরুণীর নাম অ্যান্ডি (Andy)। জন্ম হাইতিতে হলেও বেড়ে ওঠা বড় হওয়া সবটাই অমেরিকায় (America)। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ। একটু ছুটি উপভোগ করতে ওয়ার্ল্ড ট্যুর করার ভাবনা। ইচ্ছে ছিল ইটালি, গ্রিস, মিশর এবং ভারত ভ্রমণ। কিন্তু কে জানত বিধাতার কী ইচ্ছে! প্যারিসে বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথে মেট্রোয় চড়েন অ্যান্ডি। সিটে বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ চোখ পড়ল উল্টোদিকের এক তরুণের দিকে। প্রথম দর্শনেই এক রাশ ভাল লাগা মনের কোণে ভিড় করে তরুণীর। পাশে রাখা নিজের ব্যাগ সরিয়ে যেন অজান্তেই তরুণকে বসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অ্যান্ডি। । সিট ফাঁকা হতেই উল্টো দিক থেকে তাঁর পাশে এসে বসেন ওই তরুণ। কথায় কথায় একে অন্যের সঙ্গে পরিচয় বাড়ে। নিছক কথোপকথনের জন্যই ফোন নম্বর দেয়া নেয়া। তরুণের নাম স্টিভেন। তিনিও জন্মসূত্রে আফ্রিকার অধিবাসী তবে পড়াশোনার জন্য প্যারিসে থাকেন। মেট্রোর কামরায় যে গল্পটা শুরু হয়েছিল সেটা বাড়তে বাড়তে বন্ধুত্বের নাম নেয়। আর সেখান থেকে এক ছাদের নিচে দুজনের একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি তৈরি হয়। তারপর বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। যখন এই ট্যুর শুরু করেছিলেন অ্যান্ডি তখনও ভেবেছিলেন তিন দিনের বেশি থাকবেন না প্যারিসে। কিন্তু এক পলকের একটু দেখা বদলে দিল সব কিছু। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই তরুণ তরুণীর প্রেমের কাহিনী।