বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে বি*স্ফোরক উদ্ধার তদন্তভার হাতে নিল NIA

রাজ্যে দুটি জেলা থেকে বি*স্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিল এনআইএ (National Investigating Agency)। চলতি বছরেই বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার ও মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা এলাকা থেকে বি*স্ফোরক (Explosives) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হয়। শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। বুধবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Bankshal Court) এফআইআর দায়ের (FIR Lodge) করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)।

রাজ্যের একাধিক জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ধার হয়েছে বোমা। সম্প্রতি টিটাগড়ের একটি স্কুলের ছাদেও বি*স্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গত জুলাই মাসে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ বি*স্ফোরক উদ্ধার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। একটি টাটা সুমো থেকে উদ্ধার হয় ৮১ হাজার ডিটোনেটর। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক আশিস কেওরা নামে রানিগঞ্জের এক বাসিন্দাকে। পরে ধৃতকে জেরা করে নলহাটির লখনামারা গ্রামে একটি গুদামের হদিশ মেলে। শুক্রবার সেখান থেকেই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়।

পাশাপাশি গত এপ্রিল মাসে বোমা বি*স্ফোরণে কেঁপে ওঠে মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানার বেগুনবাড়ি পঞ্চায়েতের মাঠপাড়া এলাকায় বি*স্ফোরণের জেরে নড়ে ওঠে বাড়ির ভিত। বাড়ির নীচে বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল। ঘটনার জেরে চারজনকে আটক করে পুলিশ। মাটির তলায় কারা বোমা রেখেছিল, তার তদন্ত শুরু করে বেলডাঙা থানার পুলিশ। মাটিতে পুঁতে রাখা বোমা থেকেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলেই অনুমান পুলিশের। আর রাজ্যে এই দুই বোমা বিস্ফোরণের পিছনে আসল রহস্য কী? এদের পিছনে কী কী চক্রান্ত লুকিয়ে রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছেন এনআইএ আধিকারিকরা। সেইমতোই বুধবার রাজ্যে ঘটে যাওয়া দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।


 

 

Previous articleমহালয়ার আগেই শুরু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, বৃহস্পতিবার থেকেই পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
Next articleলক্ষ্য প্লাস্টিকমুক্ত গ্রামাঞ্চল, শারদোৎসবকেই হাতিয়ার করল পঞ্চায়েত দফতর