ময়নাতদন্ত করেছেন ”নিচু জাতের” চিকিৎসক। তাতেই নাকি অস্পৃশ্য হয়েছে প্রিয়জনের মৃতদেহ। সে কারণে দেহ সৎকারের কাজে গেলেন না পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়রা। আরও একটি আশঙ্কা থেকে মৃতের বাড়ির লোক দেহ নিতে অস্বীকার করে। ”নিচু জাতের” ডাক্তারের হাতে ময়নাতদন্ত হয়েছে জানাজানি হলে পাছে গ্রামের লোক একঘরে করে দেয়, তাই ভয়ে দেহ সৎকারের কাজে গেল না আত্মীয় পরিজনরা।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী পদে পাইলটকে মানতে নারাজ, মরুরাজ্যে সঙ্কটে কংগ্রেস, ইস্তফা দিলেন ৯০ বিধায়ক

শেষপর্যন্ত একজন বাইকে চাপিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হল শ্মশানে। ঘটনা ওড়িশার বরগড় জেলার। এখন জাতপাতের নামে কুসংস্কারের রয়েছে এই এলাকায়। কট্টরবাদীরা জাতপাতের জন্য একঘরে করে দেয় অনেককে। প্রশাসনও সেখানে কার্যত অসহায়।

জানা গিয়েছে, লিভারের অসুস্থতায় মুচনু সান্ধা নামে এক দিনমজুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তাঁর শেষকৃত্যের জন্য গ্রামের কেউ এগিয়ে আসেননি। মুখ ফেরান আত্মীয়রাও। শেষপর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সরপঞ্চের স্বামী সুনীল বেহরা বাইকে চাপিয়ে সান্ধার দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সুনীল জানিয়েছেন, সান্ধার বাড়িতে কোনও পুরুষ নেই। রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও শিশু সন্তানরা। সেজন্য তিনিই শেষকৃত্যের জন্য এগিয়ে আসেন।















