মুখ্যমন্ত্রী পদে পাইলটকে মানতে নারাজ, মরুরাজ্যে সঙ্কটে কংগ্রেস, ইস্তফা দিলেন ৯০ বিধায়ক

সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন অশোক গেহলট। কংগ্রেসের উপর থেকে পরিবারতন্ত্রের তকমা মুছতে এবার গান্ধী পরিবার থেকে কেউ সভাপতি নির্বাচনে নেই। গান্ধী পরিবারই চাইছে গেহলট সভাপতি হন।

মরুরাজ্য রাজস্থানের কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বছর দুই আগেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল আকার ধারণ করেছিল। শচীন পাইলট গোষ্ঠীর বিদ্রোহে অশোক গেহলট সরকার কার্যত পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সোনিয়া-রাহুল ময়দানে নেমে কোনওরকমে তা সামাল দিয়েছিলেন। রাজস্থান কংগ্রেসের আকাশে ফের বিদ্রোহের মেঘ।

আরও পড়ুন: জেনে নিন আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম

সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন অশোক গেহলট। কংগ্রেসের উপর থেকে পরিবারতন্ত্রের তকমা মুছতে এবার গান্ধী পরিবার থেকে কেউ সভাপতি নির্বাচনে নেই। গান্ধী পরিবারই চাইছে গেহলট সভাপতি হোন। তবে গান্ধী পরিবারের হাত থেকে দলের ব্যাটন তাঁর হাতে গেলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে গেহলটকে এমন সম্ভাবনাও জোরালো হয়েছে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে শচীন পাইলট। গেহলট শিবির চাইছে কংগ্রেস সভাপতি হলেও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থাকুন গেহলট। শচীনকে নিয়ে অসন্তুষ্ট দল ও মন্ত্রিসভার একাংশ।

শচীনের নাম মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আলোচিত হওয়াতেই গেহলট শিবিরের কমপক্ষে ৯০ জন বিধায়ক অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। যার মধ্যে মন্ত্রিসভার একটি বড় অংশ রয়েছে। আচমকা দলের মধ্যে এমন বিদ্রোহ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, “আমার হাতে কিছু নেই। বিধায়করা ক্ষুব্ধ।”

বিজেপি যখন মুখিয়ে রয়েছে একের পর এক রাজ্যে বিরোধীদের ভাঙিয়ে সরকার ফেলতে, ঠিক সেই সময় মরুরাজ্যে কংগ্রেসের এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন গেরুয়া শিবিরের কাছে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। তাই পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, সেজন্য দ্রুত বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস। বৈঠকে নেতৃত্বে দেবেন রাজস্থানের এআইসিসি ভারপ্রাপ্ত অজয় মাকেন। উপস্থিত থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা কে সি বেণুগোপাল, রাজ্যসভার সদস্য মল্লিকার্জুন খাড়্গে প্রমুখ। জয়পুরে গেহলটের বাসবভনে হবে সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

Previous articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleহিমাচলে খাদে যাত্রীবাহী গাড়ি, মৃত ৭, জখম বহু