শিক্ষক নিয়োগ, গরুপাচার দুর্নীতি নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য, সেই সময় ফের তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে নেতারা পদ্মমুখী হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, সংখ্যাটা ৪১-এর কম নয়।
এদিকে এই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ‘হাস্যকর অরাজনৈতিক বক্তব্য করা হচ্ছে। নিজেদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা করছে কে কত বলবে। ভোটের আগে যোগদান মেলাগুলো মনে আছে ওনাদের! তাঁদেরকেই তো ধরে রাখতে পারেননি। যাঁরা চার্টার্ড ফ্লাইটে গেছেন, তাঁরা এখন অটো ধরেও ফিরে আসছেন। আর এই ধরনের কথাগুলো সম্পূর্ণ হাস্যকর। সুকান্ত-দিলীপ , এই বিজেপি (BJP) রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি কেন্দ্রের আস্থা নেই বলে তারা অতিথি শিল্পীকে এখানে নাটক করতে পাঠিয়েছে।
মিঠুন চক্রবর্তীকে অমিতাভ বচ্চনের ‘দিওয়ার’ ছবিটি দেখার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, ‘ওই ছবিতে শশী কাপুর বলেছিলেন, ‘হামারে পাস মা হে’। আমিও বলছি, আমাদের কাছে দিদি আছে। তারপরে সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক আছেন, সবচেয়ে বড় কথা বাংলার সমস্ত মানুষ মমতাদির নেতৃত্বে তৃণমূলের (Trinamool) পাশে আছে। এখন হাস্যকরভাবে একেক জন সংখ্যা ভাসিয়ে দিয়ে, বাংলার মানুষকে অসম্মান করছেন। দেড় বছর হয়েছে মিঠুনদা ঘুরে গেছেন। উনি রিজেক্টেড, বেশি করে হজমি গুলি খেয়ে আগে পরাজয়টা হজম করুন।
কুণাল আরও বলেন, এই সব নেতারা একজন আরেকজনকে টেক্কা দিতে কাল্পনিক সংখ্যা তৈরি করছে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) ভরসা। বাংলা বাম জামানার থেকে ভালো আছে’।