পরিবহনমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও আন্দোলন জারি SBSTC-র অস্থায়ী বাসকর্মীদের, নাকাল যাত্রীরা

পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীস চক্রবর্তীর আশ্বাস ও আন্দোলন তুলে নেওয়ার অনুরোধের পরও SBSTC-র অস্থায়ী বাস কর্মীদের কর্মবিরতি অব্যাহত । মঙ্গলবারও থমকে বাস পরিষেবা। স্বভাবতই নাজেহাল যাত্রীরা।

আরও পড়ুন:SBSTC-র অস্থায়ী কর্মীদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা

দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের ২৬ দিনের কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনকারীরা। পুজোর আগে শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেন  মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এমনকি পুজোর শুরুতে যাত্রী দুর্ভোগ যাতে না হয় সেজন্যও আন্দোলনকারীদের কাছে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন,  “পুজোর মুখে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। অস্থায়ী কর্মীদের ২৬ দিনের কাজের একটা দাবি ছিল। আমি এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি। ২৬ দিনের কাজ ওদের দেওয়া হবে। আমি পুজো মিটলেই কথা বলব ওদের সঙ্গে। ” কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক বাস ডিপোয় থমকে এসবিএসটিসি-র চাকা। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাঁকুড়া ডিপো থেকে দূরপাল্লা ও ছোট রুটগুলিতে সবমিলিয়ে দৈনিক বাস চলাচল করে প্রায় ৪০ টি। এর মধ্যে কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম-সহ দূরপাল্লার যাত্রীরা পুরোপুরি নির্ভরশীল সরকারি বাসের উপর।যার জেরে যাত্রী ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সাত দফা দাবিতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করলে সেই বাস পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। স্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কোনওরকমে সারাদিনে দু’একটি সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ গত পাঁচ দিন।পুজোর মুখে একান্ত বাধ্য হয়ে দূরপাল্লার যাত্রীদের বেছে নিতে হচ্ছে বিকল্প বেসরকারি বাস। বহু ক্ষেত্রে যাত্রাপথ ভেঙে ভেঙে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বহু যাত্রীরা। ফলে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ ও নিত্য যাত্রীরা।

Previous articleসাংসদ শিশির অধিকারীকে সমন পাঠাল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি
Next articleDebolina Dutta: পুরনো স্মৃতি নয়, পুজোয় নতুন স্মৃতি তৈরি করবেন অভিনেত্রী