কোন্নগরে সাড়ম্বরে প্রস্তুতি চলছে ১৮ হাতের দুর্গা আরধনার

সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। পুজো (Durga Pujo 2022) আসতে হাতেগোনা আর মাত্র ৭২ ঘণ্টার অপেক্ষা। তবে মহালয়া (Mahalaya) থেকেই পুজোর সাজে সেজে উঠেছে শহর কলকাতা (Kolkata) সহ গোটা রাজ্য। বিগত দুবছর করোনার (Covid 19) বাড়বাড়ন্তে কার্যত ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। তবে চলতি বছর দেবী দশভুজাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সকলেই। মহালয়ার পর থেকেই শহর কলকাতার একাধিক পুজো মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। জনপ্লাবন দেখে বোঝা দায় পুজো আসতে এখনও দিন দুয়েক বাকি। শহরের পাশাপাশি পুজোর উন্মাদনা রাজ্যেও।

হুগলি (Hoogly) জেলার কোন্নগরে দেখা গেল সেই ছবি। গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে সাধুরঘাটে প্রতিষ্ঠিত মা কালীর আনন্দ আশ্রমে প্রতিবছর নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ১৮ হাতের দূর্গার পুজো হয়ে আসছে। ১৩২৮ বঙ্গাব্দে তান্ত্রিক সূর্য নারায়ণ সরস্বতী মহারাজ কালীমাতা আনন্দ আশ্রমে এই পূজার প্রচলন করেন। পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরের আক্রমণে স্বর্গ থেকে আলাদা হয়ে দেবগন হিমালয়ের কাত্যায়ন আশ্রমে সমবেত হয়ে নিজ তেজ এর দ্বারা সৃষ্টি করেছিলেন মহিষাসুরমর্দিনীকে। এইসময় দেবী বিভিন্ন রূপে দেবতাদের সামনে আবির্ভূত হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ১৮ হাতের দুর্গা এবং দশভূজা দুর্গা।

তবে চণ্ডিকাতে দেখা যায় কুড়ি হাতের দুর্গা। এখানে দেবীর মুখ-র রং শ্বেত বর্ণ। হাতগুলি নীল বর্ণের, বক্ষস্থল অতি শ্বেতবর্ণ। শরীরের মধ্যে ভাগ এবং চরণ যুগল রক্তবর্ণের। দেবীর ডানদিকে নয় হাতে রয়েছে পদ্ম, বাণ, তরোয়াল, ত্রিশূল ও অক্ষমালা। বাঁদিকে প্রথম ছয় হাতে আছে শঙ্খ, খড়্গ, ধনুক, ধুনুচি, ঘণ্টা, কমণ্ডলু ও শেষের তিন হাতে আছে পদ্ম। প্যান্ডেলের আতিশয্য নেই, কিন্তু বনেদিয়ানা ভরপুর এই ১৮ হাতের দুর্গার।

Previous articleসিবিআই-কে আয়-ব্যয়ের নথি দিলেন অনুব্রত কন্যা
Next articleশুক্রবার পর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নয়,ফের সুপ্রিম স্বস্তি মানিকের