Netherlands: প্রবাসের পুজোয় সুন্দরবনের শিল্পের ছোঁয়া

ইন্দোডাচ কেয়ার ফাউন্ডেশন (IndoDutch Care Foundation), কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজকে (Kolkata Society for Cultural Heritage) নেদারল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় দুর্গাপূজা আইন্দহোভেন শারদোৎসবের ( Eindhoven Shardotsav) আয়োজকদের সঙ্গে যুক্ত করেছে।

পুজো মানে আনন্দ আর হুল্লোড়ে মেতে থাকা।এবছর কলকাতার (Kolkata) পুজো ইউনেস্কোর (UNESCO) স্বীকৃতি পেয়েছে। তিলোত্তমার পুজোর মুকুটে এখন হেরিটেজের পালক। বাংলার পুজো আজ বিশ্বজনীন। এই বছর বাংলার সংস্কৃতি মিশে গেল নেদারল্যান্ডসে (Netherlands)। ‘দ্য হেগ’- এ (The Hague) অবস্থিত ইন্দোডাচ কেয়ার ফাউন্ডেশন (IndoDutch Care Foundation), কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজকে (Kolkata Society for Cultural Heritage) নেদারল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় দুর্গাপূজা আইন্দহোভেন শারদোৎসবের ( Eindhoven Shardotsav) আয়োজকদের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এবছর সেখানকার পুজোতে মিশেছে অরণ্য সুন্দরীর সংস্কৃতি।

কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ (KSCH) একটি সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে নেদারল্যান্ডের সঙ্গে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন বিভাগের (Forest Department, Government of West Bengal) সহযোগিতায় কেএসসিএইচ-এর কাগজের প্লেট তৈরির প্রকল্পগুলি এবার নেদারল্যান্ডসের প্রধান শহর উত্তর ব্রাবান্ট এর আইন্দহোভেনের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ব্যবহার করা হবে। সুন্দরবনের মহিলাদের হাতে তৈরি কাগজের প্লেটে অতিথিদের পুজোর ভোগ পরিবেশন করা হবে। KSCH এর তত্ত্বাবধানে সুন্দরবনের মহিলাদের কাছে প্রায় ৩৫০০ টি সেট অর্থাৎ প্লেট, কাপ, বাটি ইত্যাদির অর্ডার করা হয়েছিল। যা ইতিমধ্যে আইন্দহোভেনে পৌঁছেছে।

কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ(KSCH) ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে বাসন্তীর ঝাড়খালি এবং গোসাবা ব্লকের বালি দ্বীপে পেপার প্লেট উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করে। তাঁরা ৪০ জন স্থানীয় গরিব মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেন এবং এক বছরের মধ্যে তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলেন। এখন দুটি ইউনিটে ১৪০ জনেরও বেশি গ্রামীণ মহিলা এই পেপার প্লেট প্রকল্পে কর্মরত। আয়ের পাশাপাশি, এটি ম্যানগ্রোভ ব-দ্বীপের বাস্তুতন্ত্রের উপর থার্মোকলের কু প্রভাব কমিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় হোটেল, হোম-স্টে এবং পর্যটকবাহী জাহাজগুলোই গ্রামীণ মহিলাদের দ্বারা তৈরি জিনিস সরবরাহ করা হয়। ইন্দো-ডাচ কেয়ার ফাউন্ডেশন KSCH এর সঙ্গে মিলিতভাবে সুন্দরবনের অনেক প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করেছে। ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি শতরূপা বসু রায় বলছেন, সুন্দরবনে কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজের (Kolkata Society for Cultural Heritage) বেশ কয়েকটি প্রকল্পে অংশ নিয়েছে তাদের ফাউন্ডেশন। যার মধ্যে রয়েছে ম্যানগ্রোভের চারা রোপণ, পুকুর সংস্কার ও বিশুদ্ধকরণ ইত্যাদি।

এই প্রকল্প প্রসঙ্গে KSCH এর প্রতিষ্ঠাতা সৌরভ মুখোপাধ্যায় বলেন, ২০২১ সালে সুন্দরবনে পেপার প্লেট প্রকল্প শুরু হয়। এক বছরের মধ্যে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে এবং প্রায় ১৪০০০-এর বেশি এই প্লেট তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ তিনটি মেশিন সরবরাহ করেছিল যার ফলে উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। প্রকল্পটি রাজ্য বন দফতরের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে। বনবিভাগের ডিএফও (DFO) মিলন মন্ডল, এই সাফল্যে খুশি। ওনার মতে, সুন্দরবনের মানুষ যাতে জঙ্গলে না যায় তাই আমরা নানা ধরনের কর্মসূচি সারা বছর ধরেই গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বিদেশ থেকে অর্ডার আশায় প্রত্যেকে যথেষ্ট উৎসাহিত।

দাবি শুধু মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়াই নয়, পাশাপাশি কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ বিপণন এবং প্রচারেরও দেখাশোনা করছে এবং নিয়মিত ক্রেতাদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় বনানী।

Previous articleআবগারি দুর্নীতি মামলা, মনীশ সিসোদিয়া ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করল সিবিআই
Next articleকেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ৪ শতাংশ বাড়ল ডিএ