রাজস্থান নাটকের পর গান্ধী পরিবারের সমর্থনে কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে দিগ্বিজয় সিং

গেহলট যেহেতু সভাপতির থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন, তাই শেষ মুহূর্তে পালে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের। তিনিও গান্ধী ঘনিষ্ঠ নেতা বলে পরিচিত

হাতে আর ২৪ ঘন্টা সময়। আগামিকাল, শুক্রবারই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এবার গান্ধী পরিবার থেকে কেউ যে সভাপতি হবেন না, তা আগেই ঠিক ছিল। তবে কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সোনিয়া-রাহুলকে পছন্দ ছিল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কিন্তু তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে নারাজ। সবমিলিয়ে ডামাডোল পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতা কে হবেন, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারল না হাইকমান্ড।

গেহলট যেহেতু সভাপতির থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন, তাই শেষ মুহূর্তে পালে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের। তিনিও গান্ধী ঘনিষ্ঠ নেতা বলে পরিচিত। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে দিগ্বিজয়ের পাল্লা ভারী। গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ আরেক নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে সভাপতি হিসেবে শুরু থেকেই তাঁর নাম বিবেচনা না করার অনুরোধ করে আসছেন সোনিয়া গান্ধীকে। এবং এভাবেই পাস কাটিয়েছেন খাড়গে।

রাজস্থান নাটকের পর আরেক বিশ্বস্ত সৈনিক কমলনাথকে সোনিয়া গান্ধী ডেকে পাঠালেও তিনিও সভাপতি হতে রাজি হননি। পবন বনসল মনোনয়ন পেশের ফর্ম তুললেও তাঁকে যোগ্য বলে মনে করছেন না অনেকেই। আবার শশী থারুরকে ভরসা করে জিতিয়ে আনার সাহসও দেখানো যাচ্ছে না। প্রথমত, তাঁর উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারবেন না গান্ধীরা। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত জাতীয় রাজনীতিতে শশীর সেই ইমেজ তৈরি হয়নি, যে তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি করা যায়। এই পরিস্থিতিতে আবার এ কে অ্যান্টনিকে ডেকে পাঠান সোনিয়া। তবে দৌড়ে এগিয়ে দিগ্বিজয় সিং।

 

Previous articleঐতিহাসিক রায়!অবিবাহিতার গর্ভপাত-বৈবাহিক ধ*র্ষণ নিয়ে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Next articleDengu Update: উৎসবেও ডেঙ্গি কাঁটা, তৃতীয়াতে কলকাতায় মৃ*ত ১