প্রসঙ্গ অভিষেক মামলা: সুকান্তকে অনুরাগের “গলি মারো..” মন্তব্য মনে করালেন কুণাল

নবান্ন অভিযানে বিজেপির(BJP) গুন্ডামি ও পুলিশ আধিকারিককে মারের প্রেক্ষিতে অভিষেকের মন্তব্য হাতিয়ার করে রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। এই প্রেক্ষিতে এবার বিজেপির হিংসাত্মক মন্তব্যের তালিকা তুলে ধরে সুকান্তকে পাল্টা তো ডাকলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

বিজেপির হিংসাত্মক নবান্ন অভিযানে আহত এসিপি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএমে দেখতে গিয়ে, কপাল দেখিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি থাকলে এখানে গুলি করতাম”। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি সভাপতি মামলা প্রসঙ্গে এ দিন কুণাল ঘোষ গেরুয়া শিবিরের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, “যাদের মানুষের দরবারে যাওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই, বারবার প্রত্যাক্ষত হন, তাঁরা এই ধরণের নানা বিতর্কে জড়িয়ে শিরোনামে থাকতে চান। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কি ভূলে গেলেন, সায়ন্তন বসুর মন্তব্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে, বুক লক্ষ্য করে গুলি চালান। তিনি কি ভূলে গেলেন, দিলীপ ঘোষ, অনুরাগ ঠাকুরদের বক্তব্য, দেশ কি গদ্দারোকো গোলি মারো ! অভিষেক কাদের বলেছেন, সাধারণ মানুষকে তো বলেননি। দুষ্কৃতিদের জন্য, গুণ্ডা, যারা মারছে….পুলিশ খুন করতে যাচ্ছে, পুলিশের গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বলেছেন।”

পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, আদালতের রায় শুনেছি। সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না কিন্তু যদি দুর্নীতির প্রশ্ন হয়, অনিয়মের প্রশ্ন হয়, নিয়োগে কোনও কেলেঙ্কারির প্রশ্ন হয় সেক্ষেত্রে একটা বিষয় স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, যে ব্যক্তি এবং ব্যক্তিরা এই দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত তাদের চিহ্নিত হোক করা হোক, তদন্ত করা হোক, তাদের শাস্তি হোক। তৃণমূল যেকোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে। যদি নিয়োগে কোনরকম অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে সরকার যারা যোগ্য প্রার্থী তাদের সামনে চাকরির সুযোগ করে দিতে তৈরি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বসু ইতিমধ্যে দুটি প্রস্তাব আদালতের সামনে রেখেছেন। আদালত তার মধ্যে থেকে কোনও নির্দেশ দিলে সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু করে দেবে শিক্ষা দপ্তর। পাশাপাশি বিরোধীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধীরা শকুনের রাজনীতি করছে। আমরা সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে আবেদন জানিয়েছি উৎসবের সময় প্রতিটি আন্দোলন চলুক এবং তারা বাড়ি ফিরে যাক পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাক। তবে বিরোধীরা তা চায় না। কারণ ওনারা চলে গেলে বিরোধীদের রাজনীতিটাই উঠে যাবে।

Previous articleইরাকে ভয়াবহ হামলা! মৃত কমপক্ষে ১৩, আহত ৫৮
Next articleএবার বন্ধ হল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার টুইটার অ্যাকাউন্ট